গত মৌসুমের শুরুতে দলবদলের বাজারে হইচই ফেলে জুভেন্টাস ছেড়ে নিজের পুরনো ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফিরেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। শুরুটা দারুণভাবে করলেও, পুরো মৌসুম একেবারেই পরিকল্পনামাফিক কাটেনি ম্যানইউর। লিগে ষষ্ঠ স্থানে শেষ করেছে রেড ডেভিলসরা।
ছয় নম্বরে থেকে শেষ করায় আগামী মৌসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগও খেলা হবে না ইউনাইটেডের। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ইউরোপা লিগে খেলবেন, এটা অনেকের কাছেই কল্পনাতীত। এ কারণে স্বাভাবিকভাবেই রোনালদোর ভবিষ্যত ঘিরে বহুদিন ধরেই চলছে জল্পনা।
রেড ডেভিলদের খারাপ মৌসুমেও কিন্তু রোনালদোর ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স একেবারেই খারাপ নয়। লিগের তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৮টি গোল করেছিলেন তিনি। এ কারণে স্বাভাবিকভাবেই অনেকেই মনে করছেন তার ভবিষ্যৎ ম্যানইউতে নয়।
যদিও সাম্প্রতিক সময়ে রোনালদো এই জল্পনা থামানোর চেষ্টা করে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি ইউনাইটেডে থেকে দলের উন্নতি ঘটাতে আগ্রহী এবং দলের সঙ্গে ট্রফিও জিততে চান।
এ মৌসুমেই ম্যানইউতে নবজাগরণ ঘটানোর জন্য ডাচ কোচ এরিক টেন হাগকে দায়িত্ব দিয়ে আনা হয়েছে। এরপর থেকে অনেকে দল ছাড়লেও দলে নতুন কোনও খেলোয়াড় যোগ দেননি।
আয়াক্সের অ্যান্টনি ও টিম্বার, বার্সালোনার ফ্রাঙ্কি ডি জং, ব্রেন্টফোর্ডে খেলা ক্রিশ্চিয়ান এরিকসনের সঙ্গে রেড ডেভিলসদের নাম জড়ালেও, কোনো খেলোয়াড়ের সঙ্গেই কথাবার্তা তেমন পাকাপাকির দিকে এগোয়নি।
এসব কারণে নাকি এখন খুব বিরক্ত ও হতাশ রোনালদো। দলের উন্নতি ঘটাতে নিঃসন্দেহে নতুন খেলোয়াড় লাগবে। তা না হওয়ার কারণে স্প্যানিশ পত্রিকা এএস এবং পর্তুগালের কয়েকটি পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী হতাশায় বিরক্ত হয়ে রোনালদো ম্যানইউ’ই ছাড়ার চিন্তা করছেন।
পর্তুগিজ তারকার বয়স ৩৭ হলেও, তার পারফরম্যান্সে যে বয়সের এতটুকুও প্রভাব পড়েনি, এর প্রমাণ আগেই মিলেছে। এ কারণে তাই স্বাভাবিকভাবেই তাকে দলে নিতে চাওয়ার লোকের অভাব হবে না। শোনা যাচ্ছে ইতালি এবং পর্তুগালের বেশ কিছু ক্লাব ‘সিআরসেভেন’কে দলে নিতে ইচ্ছুক। এমনকি জুভেন্টাসেও ফিরতে পারেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।