ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে সিলেটের পরিবেশ। তবে কোটা আন্দোলন ঘিরে কয়েকদিনের সহিংসতায় সর্বত্র এখনো চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। সোমবার (৫ আগষ্ট) হামলা ভাঙচুর ও আগুনের ঘটনায় এখনও চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে সিলেটের মানুষের মধ্যে।
বুধবার (৭ আগষ্ট) সরেজমিনে নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, বন্দরবাজার, তালতলা ঘুরে দেখা গেছে, এসব এলাকায় অধিকাংশ মার্কেট ও বিপনি বিতান বন্ধ রয়েছে। কিছু কিছু বিপনি বিতান খুলতে শুরু করেছে।
সড়কগুলোতে সিএনজি চালিত অটোরিকশা সহ ছোট বড় প্রায় সব ধরণের গাড়ি চলাচল করছে। সড়কে আছে প্রাইভেট যানবাহনও। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম মানুষের আনাগোনা।
এদিকে, নগর জুড়ে এখনো রয়ে গেছে ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন। নাকে আসছে আগুনে পোড়ার গন্ধ। যা ঘটানো হয়েছিলো সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল থেকে রাতঅব্দি। শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার খবরের পরপরই সিলেটে সরকারি অফিস, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বাসা-বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে উত্তেজিত জনতা।
এসময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের বাসভবন, কোতোয়ালী থানা ও পুলিশ ফাঁড়িসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। তবে এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত সিলেটে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বিক্ষোভকারীদের হামলা-ভাঙচুর থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়ে সিলেটের প্রায় সব মসজিদে মাইকিং করা হচ্ছে। এতে বলা হচ্ছে-হিন্দু-মুসলিম সবাই ভাই ভাই। কেউ যাতে কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর না করেন।