নড়বড়ে সেতুতে দুর্ভোগে জগন্নাথপুরবাসী, দাবি নতুন সেতুর

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর-ঢাকা মহাসড়কের ইছাগাঁও নামক স্থানে স্টিল ব্রিজের পাঠাতন ভেঙে প্রায় ১২ ঘণ্টা সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকার পর রোববার (১২ মার্চ) সকাল থেকে কাজ করে বিকেলে যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক করা হয়। এতে অনাকাঙ্খিত দুর্ভোগের শিকার হন যাত্রী-জনতা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাত ৮টার দিকে মালামাল ভর্তি একটি ট্রাক ব্রিজে উঠলে একাংশের স্টিলের পাটাতন ভেঙে নরজুল নদীতে পড়ে যায়। এতে ঢাকা- জগন্নাথপুর-সুনামগঞ্জ সড়কে চলাচলকারী সকল যানবাহনের চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। যে কারণে অনাকাঙ্খিত দুর্ভোগের শিকার হন যাত্রীরা। রাত থেকে মোটরসাইকেলসহ হালকা যানবাহন চলাচল করলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে আটকে থাকে প্রায় বিশ থেকে ত্রিশটি মালবাহী ট্রাক।

রোববার সকালে সুনামগঞ্জের সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের জনবল কাজ শুরু করার পর স্বল্প পরিসরে গাড়ি চলাচল শুরু হয়। এরপর সন্ধ্যায় বড় গাড়িগুলো চলাচল শুরু করে।

এর আগে গত ২৯ মে চালভর্তি আরেকটি ট্রাক নিয়ে এ ব্রিজের পাটাতন ভেঙে গিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এভাবে কয়েকবার ব্রিজের পাটাতন ভেঙে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এ সড়কে চলাচলকারী জনসাধারণ জানান, নতুন সেতু না হলে আমাদের চলাচল স্বাভাবিক হবে না। এখানে নতুন করে পাকা সেতু নির্মাণ করে দেয়া হোক। ঝুঁকিপূর্ণ এ পুরাতন স্টিল ব্রিজকে জোড়াতালি দিয়ে কোনোরকমে যোগাযোগ ব্যবস্থা রক্ষা করা হচ্ছে। আর কতদিন এভাবে চলবে? বারবার পাটাতন ভেঙে যাওয়ার ঘটনায় আমাদের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যেকোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

এ পথে চলাচলকারী চালকরা জানান, এখানে ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার ঘটনায় মাঝে-মধ্যে জগন্নাথপুর থেকে সুনামগঞ্জে সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। জগন্নাথপুর থেকে ছেড়ে গাড়ি ব্রিজের এক পাশ পর্যন্ত যায়। এরপর পায়ে হেঁটে ব্রিজ পার হয়ে ওই পাশ থেকে আবার অন্য গাড়ি সুনামগঞ্জ যায়। এভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা রক্ষা করা লাগে। যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন সেতু করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানান তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম জানান, ব্রিজের ভেঙে যাওয়া অংশে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ করে মেরামত করা হয়েছে। রোববার বিকেল থেকে ভারি যানবাহন চলাচল করছে। এই ব্রিজের পাশে আরেকটি সেতু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বন্যার জন্য কাজটি পেছনে পড়ে যায়। আশা করি আগামী জুনের মধ্যে প্রস্তাবটি পাশ হবে। এখন সমস্যা হওয়া সাথে সাথে আমরা কাজ করে দিচ্ছি।