হজ সংক্রান্ত যাবতীয় পরিষেবার ফি সম্পূর্ণভাবে পরিশোধের পরই বিদেশি যাত্রীদেরকে হজ পালনের অনুমতি দেওয়া হবে; বিদেশি হজযাত্রীদের জন্য এই নতুন আইন জারি করেছে সৌদি আরব।
সৌদির নাগরিকদের জন্য অবশ্য এ ক্ষেত্রে খানিকটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। নাগরিকদের একটি অংশ হজ সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিষেবার ফি তিন কিস্তিতে পরিশোধ করতে পারবেন। তবে কোন কোন নাগরিক এই সুবিধা পাবেন, তা নির্ধারণে লটারি করা হবে। সেখানে যেসব আবেদনকারীর নাম উঠবে— তারাই পাবেন এ সুবিধা।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, চলতি বছর সৌদির অভ্যন্তরীণ হজযাত্রীদের জন্য ফি ধরা হয়েছে ন্যূনতম ৩ হাজার ৯৮৪ রিয়াল থেকে সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৮৪১ রিয়াল। অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় ন্যূনতম ১ লাখ ২৩ হাজার ৩৪৮ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৫০৮ টাকা।
মূলত হজকালীন আবাসন, যাতায়াত ও অন্যান্য বিভিন্ন সেবা বাবদ ধার্য করা হয়েছে এসব ফি।
ইসলামের প্রধান পাঁচটি স্তম্ভের একটি হলো হজ। প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিমের জন্য জীবনে অন্তত একবার হজ পালন করা অত্যাবশকীয় (ফরজ)।
২০১৯ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ২ কোটিরও বেশি মানুষ সৌদিতে গিয়েছিলেন হজ করতে। তারপর ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরু হলে দেশি-বিদেশি সব যাত্রীদের হজ পালনে স্থগিতাদেশ দেয় দেশটির সরকার। বিশেষ অনুমতিতে মাত্র কয়েক হাজার অভ্যন্তরীণ যাত্রী ওই বছর হজ করেছিলেন।
২০২১ সালে অভ্যন্তরীণ যাত্রীদের জন্য হজ পালনে স্থগিতাদেশ তুলে নেয় সৌদির সরকার। তবে কঠোর সীমান্ত বিধি জারি থাকায় ওই বছরও দেশটিতে যেতে পারেননি বিদেশি হজযাত্রীরা।
করোনার বৈশ্বিক মহামারির তেজ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসার পর অবশেষে ২০২২ সালে বিদেশি হজযাত্রীদের জন্য সীমান্ত খুলে দেয় সৌদি আরব।