বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, বিএনপি জনগণের রাজনীতি করে, জনমানুষের রাজনীতি করে, সেজন্য দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্যাতন নিপীড়নের পরও গণতান্ত্রীয় কর্মসূচির মধ্যে রাজনৈতিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার আস্থাভাজন জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং মির্জা আজমের পৃষ্ঠপোষকতায় ঠান্ডামাথায় সুপরিকল্পতভাবে বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি শনিবার (২ নভেম্বর) টুকেরবাজার মাঠে বৃহত্তর টুকেরবাজার বিএনপি আয়োজিত বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
খন্দকার মুক্তাদির আরও বলেন, ‘২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ঘটে। মাত্র একদিনে এত সংখ্যক সেনা কর্মকর্তা হত্যার নজির বিশ্বের আর কোথাও নেই। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে এত সংখ্যক সেনা কর্মকর্তাকে প্রাণ দিতে হয়নি। বিগত ১৭ বছর পার হয়ে গেলেও এমন বর্বরোচিত ঘটনার আজ পর্যন্ত বিচার হয়নি। ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন মানুষের বীভৎস হত্যাকাণ্ডের দায়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও ঘটনার পরিকল্পনাকারীদের বিচার হবে।’
ভারতের সাথে বিভিন্ন চুক্তি নিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ধারাবাহিকভাবে ভারতের সাথে একের পর এক চুক্তি করেছে যা দেশের মানুষের কল্যাণে নয়, কেবলমাত্র আওয়ামী লীগের অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা থাকার জন্য। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার করা সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিরোধী সকল চুক্তি বাতিল করা হউক।’
সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি একেএম তারেক কালামের সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আবুল হাসনাত এবং উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক, জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক অব্দুস সালাম ও এনাম হোসেনের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শাহ জামাল নুরুল হুদা, সহ-সভাপতি শহীদ আহমদ, আজির উদ্দিন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ সহ আরো অনেকে।
সমাবেশের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন সদর উপজেলা বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মাসুক মিয়া।