কোরবানির জন্য মোটাতাজা ও হৃষ্টপুষ্ট পশুই উত্তম। মুশকিল হলো, কোরবানির হাটে হৃষ্টপুষ্ট পশু যে সুস্থ ও স্বাভাবিক হবে, এমন নিশ্চয়তা নেই। মজার বিষয় হচ্ছে, মোটাতাজা কোরবানির পশু কিনে অনেকে তৃপ্ত হন। হাটে কেউই হালকা-পাতলা গরুর ধারে-কাছে ভেড়েন না। এর জন্য বাড়তি দাম দিতেও কার্পণ্য করেন না তারা। বেপারিরাও চেষ্টা করেন হাটে মোটাতাজা গরুর সরবরাহ বাড়ানোর।
তবে কিছু টোটকা জানা থাকলে কোরবানির হাটে গিয়ে সুস্থ গরু কেনা সম্ভব। জেনে নিন এমন দশটি কারণ-
* অতিরিক্ত ওজন হওয়ায় এসব গরু স্বাভাবিক নাড়াচাড়া ও চলাফেরা করতে পারে না ও শান্ত থাকে।
* রাসায়নিকযুক্ত গরু ভীষণ ক্লান্ত থাকে ও ঝিমাবে। আর সুস্থ গরুর গতিবিধি চটপটে থাকে। কান ও লেজ দিয়ে মশা মাছি তাড়ায়।
* রাসায়নিক বা ওষুধ দেওয়া গরুর মাংসপেশি থেকে শুরু শরীরের অন্য অঙ্গগুলো অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যায়। গরুর শরীরে পানি জমার কারণে বিভিন্ন অংশে চাপ দিলে সেখানে গর্ত হয়ে দেবে যাবে এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে সময় নেবে।
* অতিরিক্ত স্টেরয়েড দেওয়া গরুর মুখ থেকে প্রতিনিয়ত লালা ঝরে। এসব গরু কিছু খেতে চায় না।
* সুস্থ গরুর নাকের ওপরের অংশটা ভেজা বা বিন্দু বিন্দু ঘাম জমা থাকবে। অন্যদিকে অসুস্থ গরুর নাক থাকবে শুকনা।
* গরুর শরীরে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বুঝবেন গরুটি অসুস্থ।
* সুস্থ গরুর চামড়ার ওপর দিয়ে কয়েকটা পাঁজরের হাড় বোঝা যাবে।
* ওষুধ খাওয়ানো গরুর শরীরের অঙ্গগুলো নষ্ট হতে শুরু করায় এগুলো শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়। মনে হবে হাঁপাচ্ছে।
* সুস্থ গরুর শরীরের রঙ উজ্জ্বল, পিঠের কুঁজ মোটা, টান টান ও দাগমুক্ত হবে।
* সুস্থ গরুর রানের মাংস শক্ত থাকবে। আর রাসায়নিক দেওয়া গরুর পা হবে নরম থলথলে।