সুনামগঞ্জে যৌতুকের টাকা জন্য স্ত্রীকে হত্যা মামলায় ১৯ বছর পর স্বামী আব্দুল্লাহর যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত।
রোববার (২১ আগস্ট) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মহিউদ্দিন মুরাদ এ রায় দেন। রায় ঘোষনার সময় আসামী আব্দুল্লাহ পলাতক ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের বিগত ৭ আগস্ট দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার (বর্তমাান শান্তিগঞ্জ) জয়কলস গ্রামে আব্দুল্লাহের সাথে শেফালী বেগমের বিয়ে হয়। আর্থিক অভাব অনটনের কারণে তাদের সংসারে প্রায়ই ঝগড়া হতো। ঘটনার প্রায় ২ মাস পূর্বে স্বামী আব্দুল্লাহ সৌদি আরব যাওয়ার জন্য তার স্ত্রী শেফালী বেগমের কাছে ১ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে।
টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তার স্ত্রী শেফালী বেগমকে আব্দুল্লাহ ২০০৩ সালে ২৭ অক্টোবর তাকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে। ঐ দিন শেফালী বেগম বাড়ির পিছনে একটি আমগাছে ঝুলিয়ে হত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ উপস্থিত হয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং আলামত জব্দ করেন। হত্যার পর শেফালী বেগমের শরীরে বিভিন্নস্থানে জখম ছিল।
এই ঘটনায় পরে শেফালী বেগমে মা মালেকা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে স্বামী আব্দুল্লাহ ও তার পিতা খাসিদ আলী ও মা সৈয়দুন্নেছার বিরুদ্ধে ২০০৪ সালে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলার দীর্ঘ বিচারকার্য শেষে আদালত হত্যাকারি আব্দুল্লাহকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। অপর আসামিদের খালাস দেয়া হয়।