সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় সীমান্তবর্তী ৭টি গ্রামে কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে শিলাবৃষ্টিতে শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রোববার (০৫ মে) বিকাল সাড়ে ৫ টার শুরু হয় এই ঝড় ও শিলাবৃষ্টি। চলে প্রায় ১৫ মিনিট পর্যন্ত।
স্থানীয়রা জানায়, রোববার দিনব্যাপী সুনামগঞ্জের আকাশে সূর্যের তেমন তেজ ছিল না। দুপুর গিয়ে যখন বিকাল হয় তখন হটাৎ করে সাদা নীল রং এর আকাশ কালো হয়ে যায়। সাথে সাথে শুরু হয় প্রচন্ড প্রবল বেগে বাতাস।
তার ৫ মিনিট পর বাতাসের সাথে শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। প্রায় ১৫ মিনিটের এই শিলাবৃষ্টিতে দোয়ারাবাজার উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম বাঁশতলা, চৌধুরীপাড়া, মৌলারপাড়, কলোনি, নতুন বাঁশতলা, ঝুমগাও ও পেকপাড়া গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ির টিনের ছাউনির ব্যাপক ক্ষতি হয়।
বাঁশতলা গ্রামের প্রবীণ বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ মিয়া জানান, ‘আমার এত বয়সে কোনদিন এতো বড় শিলা দেখিনি। পাথরের মতো এক একটা শিল।‘
কলোনি গ্রামের বাসিন্দা মাহমুদ আলী জানান, ‘শিলা পড়ে টিনের চালে অসংখ্য বড় বড় ছিদ্র হয়ে গেছে। বৃষ্টির সঙ্গে বড় বড় শিলাও পড়তে থাকে। অনেকের ঘরের ভেতরের মালামাল নষ্ট হয়েছে।‘
বাঁশতলা গ্রামের বাসিন্দা রাকিব মিয়া জানান, ‘বিকালে হঠাৎ করে ঝড়ো বাতাস শুরু হয়। পরে প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টি হয়। এতে আমার ঘরের টিনের ব্যাপক ক্ষতি হয়।‘
বাংলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আবুল হোসাইন বলেন, ‘বাঁশতলা অঞ্চলে শিলাবৃষ্টিতে অজস্র টিনের তৈরি ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক বাড়ি বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। আকষ্মিক এ শিলাবৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েছে এখানকার নিন্মআয়ের মানুষ।‘
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেহের নিগার তনু বলেন, ‘বিকালের দিকে দোয়ারা বাজারে কালবৈশাখী ঝড় হয়েছে। এতে দোয়ারাবাজার সদরে তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, কিন্তু উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে শিলাবৃষ্টির কারণে টিনের ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের তালিকা তৈরি করে সহযোগিতা প্রদান করা হবে।‘