সুনামগঞ্জে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপারের অপসারণ দাবি

সুনামগঞ্জে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মনোজিত মজুমদার এবং হোস্টেল সুপার ডা.শান্তনু দাসকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বদলি ও অপসারণের দাবি তুলেছেন কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীরা জানান, মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কলেজের সকল প্রকার প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রমে অধ্যক্ষের অনভিজ্ঞতা, অদক্ষতা, দায়িত্বহীনতা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার অক্ষমতা বারবার পরিলক্ষিত হয়েছে।

তারা জানান, ‘আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এ শুরু থেকেই সমর্থন জানিয়েছি এবং এতে অংশগ্রহণ অব্যাহত রেখেছি কিন্তু মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মনোজিত মজুমদার এবং হোস্টেল সুপার ডা.শান্তনু দাস শুরু থেকেই তাদের ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক মতাদর্শের জন্যে আন্দোলন চলাকালীন শিক্ষার্থীদের হোস্টেল ত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা প্রদানে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন এবং কলেজের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন রাজনৈতিক কুকর্মে লিপ্ত হয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরবর্তী সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ৯ দফা দাবি জানানো হলেও তারা সেটি অগ্রাহ্য করেন। তাই আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক মতাদর্শী অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা.মনোজিত মজুমদার এর স্বেচ্ছায় পদত্যাগ এবং ডা. শান্তনু দাসকে অত্র মেডিকেল কলেজ থেকে অপসারণের দাবি করছি। অন্যথায় কলেজ এবং সবধরনের অফিস কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী  জানান, ‘আমরা প্রথম থেকেই অধ্যক্ষের অবহেলার স্বীকার। তিনি মাত্র দুই দিন কলেজে আসতেন আর লিয়াজো মেইনটেইন করতে সরকার দলের মন্ত্রীর সাথে। তিনি আমাদের ওয়ার্ডের ক্লাস ঠিক মতও করার সুযোগ দেন নি। আমি বর্তমানে তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। কিন্তু ওয়ার্ডে যে ধরনের ক্লাস করার কথা আমরা সেটি করতে পারি নাই। একই সাথে বর্তমান অধ্যক্ষ মনোজিত মজুমদার বিভিন্ন খাতের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। একই সাথে একটি কৌশল তিনি সব সময় অবলম্বন করতেন বরাদ্দ ১ লক্ষ টাকা হলে তিনি অর্ধেকের উপর টাকা রেখে বাকি গুলা সরকারি কোষাগারের আবার ফেরত দিয়ে দিতেন। একই সাথে তিনি প্রশাসনিক কাজে পুরোপুরি পুরোপরি ব্যর্থ হয়েছেন। আমরা হোস্টেলে তেমন কোনও সুবিধা পাচ্ছি না। একটি বাতি নষ্ট হলেও সেটা আমাদের নিজেদেরকে কিনে আনতে হয়।’