বই উৎসবের দিন কোনো বই পায়নি সুনামগঞ্জের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। উৎসবে এসে বই না পেয়ে খুবই হতাশ হয় শিশুরা। কবে তারা বই পাবে সেটিও জানায়নি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সঠিক সময়ে বই না পেলে পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন অভিভাবকরা।
সুনামগঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার ১১ উপজেলার মোট চাহিদার ৩৫ ভাগ বই পাওয়া গেছে। বাকি ৬৫ শতাংশ বই এখনো পাওয়া যায়নি।
প্রথম শ্রেণির ২ লাখ ৫৯ হাজার ২১৫টি এবং দ্বিতীয় শ্রেণির ২ লাখ ৫০ হাজার ৪৫৫টি বইয়ের চাহিদা দেওয়া আছে। একটি বইও পাওয়া যায়নি। এছাড়া সদর উপজেলা, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক ও তাহিরপুর উপজেলার প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির কোনো বই বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। বই উৎসবের জন্য আশপাশের উপজেলাগুলো থেকে কিছু বই ধার আনা হয়েছে।
রোববার (১ জানুয়ারি) সকালে সুনামগঞ্জের শহর বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী।
উৎসবে এসে বই না পেয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন অভিভাবকরা। দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বাবা আব্দুল হালিম বলেন, এর আগে বছরের শুরুতে বই পেয়েছি। এবারও বই নিতে মেয়েকে নিয়ে বিদ্যালয়ে আসলাম। কিন্তু কোনো বই পাইনি। কবে পাব তাও জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
আরেক অভিভাবক পলাশ আহমেদ বলেন, এবার খালি হাতে বাচ্চাকে নিয়ে বাড়ি ফিরছি। সঠিক সময়ে বই না পেলে তো বাচ্চারা পিছিয়ে পড়বে। যত দ্রুত সম্ভব বই দিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম আব্দুর রহমান বলেন, যতদূর জেনেছি কাগজ সরবরাহের ঘাটতি থাকায় যথাসময়ে বই ছাপতে দেরি হয়েছে। এ কারণে আমরা এখনো বই পাইনি। চাহিদার বিপরীতে মাত্র ৩৫ শতাংশ বই এসেছে। ৫টি উপজেলায় একটি বইও আসেনি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহতি করেছি। আশা করছি ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সবাই বই পেয়ে যাবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে বই উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শেখ মহিউদ্দিন, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুব জামান, সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এনামুর রহিম বাবর।