জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে সভা হয়েছে। শনিবার বিকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাছনরাজা মিলনায়তনে স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া।
স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডা. মো. জসিম উদ্দিন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ—পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, সুনামগঞ্জ সদর সেনা ক্যাম্পের লে. মোহাম্মদ গোলাম নাহিদ মুরাদ, সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাসিম উদ্দিন, পি.পি অ্যাডভোকেট মল্লিক মঈন উদ্দিন সোহেল, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেরেনুর আলী, ছাত্র জনতার আন্দোলনে শহীদ আয়াতুল্লাহ্ ইসলামের পিতা মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী শাহ রাকিব, মোহাম্মদ অপি মিয়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত জহুর আলী এবং সুনামগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক ইমন দ্দোজা আহমদ।
স্মরণসভায় জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বললেন, অসহনীয় অবস্থার মধ্যে এই দেশটা ছিল। কিছু বলার সাহস ছিল না, অথচ পত্রিকাগুলোতে খবরগুলো প্রকাশ হয়েছে। একটা খবরে দুই হাজার কোটি, তিন হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ, কলেজে প্রিন্সিপাল নিয়োগে দরপত্র আহবান করা হতো, যারা সর্বোচ্চ দর দিত, তাদেরকে নেওয়া হতো। সেই অসহনীয় পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের মতো বিদ্যে বুঝাই— বাবু মশাই এগিয়ে আসতে পারি নি। যারা এগিয়ে এসেছে তারা হচ্ছেন আমাদের ছাত্র বন্ধু, ভাই এবং বোনেরা। তাদের অবদানের কথা আমরা আজীবন স্মরণ করব।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ছাত্র—জনতার ত্যাগের বিনিময়ে নতুন স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে, তাদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি যারা আহত হয়েছে, তারা নিজে কষ্ট পাচ্ছেন, তাদের পরিবারও কষ্ট পাচ্ছেন। আহতদের অনেকেই আছেন উপার্জনক্ষম ব্যক্তি, যাদের আয় রোজগারে পরিবার চলত। আপনারা জানেন, সরকারের পক্ষ থেকে জুলাই ফাউন্ডেশন করা হয়েছে। এই ফাউন্ডেশন থেকে যারা আহত হয়েছেন, নিহত হয়েছেন, তাদের চিকিৎসাসহ পুনর্বাসন, পরিবারের ভরণপোষণ সহ সার্বিক কল্যাণের ব্যবস্থা করা হবে। সুনামগঞ্জে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদেরকে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকেও সহায়তা করা হবে।
অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন কালেক্টরেট জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা তাজুল ইসলাম।