জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মিত ১০০টি সেতুর উদ্বোধন হবে। এর মধ্যে ১৭টি সেতু রয়েছে সুনামগঞ্জে। একই দিনে একই সময়ে সুনামগঞ্জের এই সেতুগুলো উদ্বোধন করা হবে। আগামী ৭ নভেম্বর জগন্নাপুর উপজেলার রানীগঞ্জ হাইস্কুল মাঠে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন ঘোষণা করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক, গণমাধ্যমকর্মী, নিম্ন আয়ের মানুষজনসহ সকল স্তরের লোকজন উপস্থিত থাকবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জেলা প্রশাসক।
তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান গণভবন থেকে সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে দেশের তিন স্থানের সেতু উদ্বোধন ঘোষণা করা হবে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়ি, বরিশাল বিভাগের বরিশাল, সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জে এই অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, অনুষ্ঠানের আগেই মাঠে মানুষজনের বসার স্থান, যানবাহনে আসা-যাওয়ার নিরাপদ ব্যবস্থা, পেন্ডেল, স্টেজ, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করা হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুনামগঞ্জের মানুষের কাছে অনূভূতি জানতে চাইবেন। সুনামগঞ্জ থেকে ঢাকার দূরত্ব প্রায় ৫৫ কিলোমিটার কমছে। সময় বাঁচবে প্রায় দেড় ঘণ্টা। এ বিষয়টি নিয়ে মানুষের অনুভূতি জানতে চাইবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
প্রস্ততি সভায় দিকনিদর্শেনামূলক বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জের সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম। এছাড়া আরও বক্তব্য দেন, সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান, জগন্নাথপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাজেদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শুভাশীষ ধর, বিজিবি’র সহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক, সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল মোমেন, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র বর্মন, দৈনিক সুনামকন্ঠ’র সিনিয়র রিপোর্টার আকরাম উদ্দিন প্রমুখ।