সোমবার (১৭ অক্টোবর) দেশের ৫৭ জেলায় একযোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্দলীয় এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।
এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। কেন্দ্রে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা, যার মাধ্যমে নির্বাচন সরাসরি মনিটর করবে ইসি।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণাও।
নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ভোটের গোপনীয়তা রক্ষায় রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ভোটাররা মোবাইল ফোন নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। বিভিন্ন স্থান থেকে যেসব আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এসেছিলো, সেগুলো তদন্ত করে প্রতিবেদন আনা হয়েছে। প্রতিবেদনের আলোকে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের মতোই ভোট হবে। কোনো অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিসি ক্যামেরায় নির্বাচন সরাসরি মনিটর করবে কমিশন।
এ নির্বাচনে এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ২৭ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ৬৯ জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৯ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট জেলার অধীনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই কেবল এ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। তিনটি পার্বত্য জেলা বাদে দেশের ৬১টি জেলায় নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ফেনী ও ভোলায় চেয়ারম্যান ও সদস্য সবাই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় সেখানে ভোটের প্রয়োজন হচ্ছে না। এছাড়া আইনি জটিলতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯৪ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা ভোটগ্রহণের আগে দুদিন, ভোট গ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরের দিন দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচনে মোট ভোটার ৬৩ হাজার ১৫৯ জন। এর মধ্যে নারী ১৪ হাজার ৯২৩ ও পুরুষ ৪৮ হাজার ২৩৬ জন। দেশের ৬১টি জেলার স্থানীয় সরকারের ৪টি প্রতিষ্ঠানের (সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের তথ্যের ভিত্তিতে এ ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার তৈরি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য পদ ৪৬৩টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য পদ ১৭২টি। চেয়ারম্যান পদ রয়েছে ৬১টি। সারা দেশে ৪৫৬টি ভোট কেন্দ্রের ৯১৩টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে।