সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন দুপুর পর্যন্ত একজন সহ মোট পাঁচ কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।
তবে কোনো মেয়র প্রার্থী এখন পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
মনোনয়ন প্রত্যাহার করা পাঁচ কাউন্সিলর প্রার্থী হলেন, ৪১ নং ওয়ার্ডের শাহীন আহমেদ ও আল আমিন, ৩৩ নং ওয়ার্ডের আব্দুস সবুর চৌধুরী, ১৩ নং ওয়ার্ডের সুমন আহমদ ও ৭ নং ওয়ার্ডের আলম হোসেন আলম। তবে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময় বিকাল চারটা পর্যন্ত।
এদিকে আপিলে একজন প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ায় নির্বাচনে ৭ মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
গেল ২৫ মে যাচাইবাছাই শেষে মনোনয়ন বাতিল হওয়া পাঁচ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে আপিল করেছিলেন তিনজন। এরমধ্যে একজন তাঁর তার প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। যার ফলে পূর্বে টিকে থাকা ৬ মেয়র প্রার্থীর সাথে নতুন করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে লড়াইয়ে ফিরেলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাহান মিয়া।
দুপুরে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আগামী ২১ জুন ভোটের লড়াইয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাহান মিয়া।
এদিকে মনোনয়ন বাতিল হওয়ার এগারো কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে সাত জন তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী আগামিকাল প্রার্থীদের প্রতিক বরাদ্দের পর ২১ জুন হবে ভোট গ্রহন।
প্রসঙ্গত, সিলেট সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০২ সালে। ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই মহানগরীর ওয়ার্ড ৪২টি।
মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৬৩ ও নারী ২ লাখ ৩২ হাজার ৮৪২ জন। মোট কেন্দ্র ১৯০টি এবং ভোটকক্ষ ১হাজার ৩৬৪টি।
২০০২ সালে সিলেট সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সিলেটের সকল ওয়ার্ডে এবারই প্রথম হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ। এ নিয়ে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও সবার মধ্যে বইছে অন্যরকম নির্বাচনী আমেজ। আর আগামীকাল প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে নির্বাচনী প্রচারণা।