সিসিক নির্বাচন : ঋণ খেলাপিদের তথ্য চাইল ইসি

আসন্ন সিলেট, খুলনা ও বরিশাল এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঋণ খেলাপিদের চিহ্নিত করতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কেননা আইন অনুযায়ী ঋণ খেলাপিদের প্রার্থিতা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকে নির্দেশনাটি পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আগামী ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন এবং ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন ও বিধি অনুসারে ঋণ খেলাপি ব্যক্তিগণ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন না। তাই চার সিটি নির্বাচনে ঋণ খেলাপি ব্যক্তিগণ মনোনয়নপত্র দাখিল করলে যাতে তাদের প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা যায় তার জন্য আইনে নির্ধারিত সব ব্যাংক থেকে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করা আবশ্যক।

মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন বিকেল ৪টার পর মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের নাম, পিতা/মাতা/ স্বামীর নাম ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্বউদ্যোগে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে সংগ্রহ করার জন্য এবং সে আলোকে বিভিন্ন ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন।

এই অবস্থায় ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন কিংবা তার পূর্বে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে প্রদান এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণকে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে নির্দেশনায়।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, খুলনা ও বরিশাল সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৬ মে, বাছাই ১৮ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের শেষ সময় ২১ মে। আপিল কর্তৃপক্ষের আপিল নিষ্পত্তির শেষ সময় ২৪ মে। প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ মে ও ভোটগ্রহণ ১২ জুন।

আর রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৩ মে, বাছাই ২৫ মে। আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল দায়েরের শেষ সময় ২৮ মে। আর আপিল কর্তৃপক্ষের আপিল নিষ্পত্তির শেষ সময় ৩১ মে। প্রত্যাহারের শেষ সময় ১ জুন ও ভোট ২১ জুন।