আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে আটঘাট বেঁধেই প্রচারে নামছে আওয়ামী লীগ। একসময় মেয়রের চেয়ারটা তাদের দখলে থাকলেও টানা দুই মেয়াদে বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে হারতে হয়েছে। আর তাই এবারের নির্বাচনে চেয়ারটা পূণরুদ্ধার সরকারি দলের জন্য মর্যাদার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাম্প্রতিক কর্মসূচিগুলো দেখলে যে কেউ তা উপলব্ধি করতে পারবেন। ইতোমধ্যে দলটি নির্বাচনকালীন প্রচারের সুবিধার্থে ৪টি উপ-কমিটি ঘোষণা করেছে।
জানা গেছে, তারা পুরো সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকাকে ৪টি আলাদা আলাদা জোনে ভাগ করে প্রচারণা চালাবেন। এসব জোনের দায়িত্বে শুধু স্থানীয় নেতারাই নয়, থাকবেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দও।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেট সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকাকে নিয়ে পশ্চিমাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ সুরমা জোনে ভাগ করা হয়েছে। এসব অঞ্চলে প্রচারণার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে।
পশ্চিমাঞ্চলে সিসিকের ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ৩৭, ৩৮ ও ৩৯- এই ১৪টি ওয়ার্ডে প্রচারের দায়িত্বে আছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ। তাকে সহযোগিতা করবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুস সামাদ ডন ও ডা. মুশফিকুর রহমান।
পূর্বাঞ্চলে যেসব ওয়ার্ড রয়েছে সেগুলো হচ্ছে ২০, ২১, ২৪, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪, ৩৫ ও ৩৬- এই ৯টি ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডগুলোর দায়িত্বে রয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী। তার সঙ্গে থাকবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আহমদ হোসেন ও সাংসদ হাবিবুর রহমান হাবিব।
১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২২ ও ২৩- এ ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে মধ্যাঞ্চল। এ অঞ্চলের দায়িত্বে আছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন। তার সঙ্গে কে কে থাকবেন এই মুহূর্তে জানা না গেলেও কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা যে থাকবেন সেটা প্রায় নিশ্চিত।
দক্ষিণ সুরমা জোনের দায়িত্বে আছেন সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান। একাধিক কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতার সমন্বয়ে এ অঞ্চলের ১২, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৪০, ৪১, ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার চালাবেন তিনি।