সিলেট সিটি করর্পোরেশনে ৩ মাসব্যাপী চলা ডেঙ্গু বিস্তার রোধে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচীর অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউএসসিডিসি’র অর্থায়নে সেভ দ্য চিলড্রেন এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশের নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায় এই কর্মসূচি সম্পন্ন হয়।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কনফারেন্স হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিসিক সচিব ফাহিমা ইয়াসমিন।
সিসিকের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মৃদুল গুপ্তের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের ভারপ্রপ্ত সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত।
সভায় বক্তারা বলেন, সিলেটের বেশীর ভাগ ডেঙ্গু রোগীরই ট্রাভেল হিস্টোরি রয়েছে। তবে এখন সিটির বেশ কিছু ওয়ার্ডে সরাসরি আক্রান্ত পাওয়া যাচ্ছে। সিসিক এডিস মসার লার্ভা ধ্বংশে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে। যার ফলে মানুষ আরও সচেতন হয়েছে।
বক্তারা বলেন, আগের মত ফুলের টবে কিংবা ফেলে রাখা টায়ার জমে থাকা পানিতে এডিসের লার্ভা এখন মিলছে না। পানি জমলে সাথে সাথে মানুষ ফেলে দিচ্ছে। তবে এখন বেশীর ভাগ বাসাবাড়ির অঙ্গিনায় ফেলে রাখা চিপসের প্যাকেট, ওয়ান টাইম চায়ের কাপ, এ জাতীয় বিভিন্ন বস্তুতে জমে থাকা পানিতে পাওয়া যাচ্ছে এডিসের লার্ভা। এ বিষয়গুলো নিয়ে আরও সচেতনতামূলক কাজ করতে হবে।
সভায় সিলেট সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জনস্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ ডা. মৃদুল গুপ্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি প্রতিবেদন পেশ করেন।
সভায় জানানো হয়, সেভ দ্যা চিলড্রেন এর প্রকল্পের আওতায় নগরীর ১৫টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু বিস্তার রোধে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হয়। ৩ মাসব্যাপী এ কার্যক্রমে ১৫টি ওয়ার্ড জুড়ে ৫৭৮২টি হাউজ হোল্ড ভিজিট করে মশার প্রজননস্থল খোঁজা হয়েছে এবং লিফলেট প্রদানের মাধ্যমে সচেতনতামূলক বার্তা দেওয়া হয়েছে। যেসব স্থানে লার্ভা পাওয়া গেছে, তাৎক্ষণিক ভাবে তা ধ্বংস করে বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানের মালিককে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
এছাড়াও এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২০০ মশারি বিতরন করা হয়। এই কার্যক্রম পরিচালনায় সেইভ দ্য চিলড্রেন” এর ১০ জন স্বেচ্ছাসেবী, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ৬জন কর্মী এবং ১৬ জন স্প্রেম্যান নিয়মিত ভাবে কাজ করেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাপনা জোরদারকরণে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহবান জানানো হয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন সিলেট ব্যুরো শাহ দিদার আলম চৌধুরী নভেল, সীমান্তিক এর অধ্যক্ষ ডা. তামান্না খান, সিসিকের মশক নিধন পরিদর্শক সুমন চন্দ্র দে, বাংলাদেশ রেডক্রিসেণ্ট সোসাইটির ২ জন প্রতিনিধি এবং উক্ত কার্যক্রমের সকল ভলান্টিয়ারগণ।