সিলেট-৩ আসনে ডা. দুলালকে সমর্থন দিলেন শফি চৌধুরী

জাতীয় সংসদের সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা-ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলালকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সাবেক এমপি আলহাজ্ব শফি আহমেদ চৌধুরী।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে সিলেট-৩ আসনে ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল-কে ট্রাক মার্কায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে তিন উপজেলাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বিবৃতিতে শফি চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত সিলেটের সম্ভ্রান্ত এক পরিবারের সুসন্তান ডাক্তার দুলাল দেশের সর্ববৃহৎ চিকিৎসক সংগঠন বিএমএ-র কেন্দ্রীয় মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি রাজনীতিতে সব সময় সক্রিয় থেকে তিনি দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জবাসীর উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। আমার বিশ্বাস এবার তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে এই তিন উপজেলাবাসী একজন যোগ্য মানবতার সেবক পাবে।

তিনি বলেন, ডা. দুলাল ইতোমধ্যে সেই যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন। দীর্ঘদিন থেকে তিনি এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে আসছেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে অজ্ঞাত কারণে তাকে সেই মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। বর্তমান সরকারের নীতি নির্ধারক মহলের সবুজ সংকেত পেয়েই তিনি নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন। আমি আশা করি তিনি জয় নিয়েই ঘরে ফিরবেন।

শফি চৌধুরী বলেন, বিগত দুই মেয়াদে আমি সংসদ সদস্য থাকাকালে এই অঞ্চলের মানুষের শিক্ষা চিকিৎসা যোগাযোগ সহ সর্বক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেছি যার সাক্ষী এই অঞ্চলের মানুষ। দুলাল নির্বাচিত হলে সে পথ দিয়েই হাঁটবেন।

তিনি আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ডাক্তার এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলালকে ট্রাক মার্কায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে তিন উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, শফি আহমেদ চৌধুরী বিগত ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ ও ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৩ আসন বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়া ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০৮ সালের নবম এবং ২০১৮ সালের একাদশ নির্বাচনে সিলেট-৩ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হন। সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ কয়েস এর মৃত্যুতে আসনটি শূণ্য হলে ২০২১ সালের উপ-নির্বাচন তিনি দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। এ নির্বাচনে তিনি মহাজোট প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের কাছে জামানত হারান এবং একইসাথে বিএনপি থেকে বহিষ্কার হন।