নির্বাচন কমিশনের আপিল শুনানির পর প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন সিলেট-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে আপিল শুনানির দ্বিতীয় দিনে তার আবেদন মঞ্জুর করে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন।
এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই শেষে মোকাব্বির খানের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।
মনোনয়ন বাতিলের কারণ হিসেবে জানানো হয়, মনোনয়নপত্রে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি হিসেবে নিজেই স্বাক্ষর করেছেন মোকাব্বির খান। তবে তিনি যে দলটির নির্বাহী সভাপতি এবং তার স্বাক্ষরেই মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দ হবে তার স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে উপস্থাপন করতে না পারায় বাতিল হয় তার মনোনয়ন।
এ ব্যাপারে তখন মোকাব্বির খান বলেছিলেন, ‘আমি যে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি, এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন অবগত আছে। তাদের সাথে আলাপ করেই আমি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। আমি এখন ঢাকায় যাচ্ছি। কমিশনে গেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।’
আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর গণফোরাম নেতা মোকাব্বির খান বলেন, আমার প্রার্থিতার জন্য নির্বাচনী এলাকার সব দলমতের মানুষ অধীর আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে রয়েছে। আমার প্রার্থিতা বাতিল করায় তারা অত্যন্ত ব্যথিত ছিলেন। আজকে আপিল মঞ্জুরে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ উৎকণ্ঠা তো রয়েছেই। সরকার বলেছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব ব্যবস্থা করবে। নির্বাচন কমিশনও জাতিকে এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। তবে আমরা যদি দেখি এই প্রতিশ্রুতির ব্যত্যয় ঘটছে তাহলে আবার আমরা জনগণের সামনে হাজির হবো।
গণফোরামের একটি অংশ নির্বাচনে অংশ নেবে না বলেছিল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোকাব্বির খান বলেন, সেটা টেকনিক্যাল বিষয় ছিল। শুনানিতে আমাদের দলের সভাপতি উপস্থিত ছিলেন। তিনি বিষয়টি পরিষ্কার করে দিয়েছেন। আমরা সবাই নির্বাচনের পক্ষে।
তবে এদিন মোকাব্বির ছাড়াও প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন আরও ৫০ জন প্রার্থী। যার মধ্যে ২৬ জনই স্বতন্ত্র প্রার্থী। বাকি ২৪ জন আওয়ামী লীগসহ ১৩টি রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী।