দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে করণীয় ঠিক করতে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তালতলাস্থ গুলশান হোটেলের হলরুমে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির এই জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট মফুর আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেনের পরিচালনায় সভায় নেতৃবৃন্দ আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বিভিন্ন সাংগঠনিক বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করেন।
সভার সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের নাশকতা, বোমাবাজি ও অগ্নিসন্ত্রাস হবে। যারা নাশকতা, বোমাবাজি ও অগ্নিসন্ত্রাস করবে তাদের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। নির্বিগ্নে যাতে ভোটাররা ভোট দিতে পারে। সেজন্য নেতা-কর্মীদের ভোটারদের সহযোগিতা করতে হবে। সেন্টারে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে। ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের নিয়ে আসতে হবে। যদি কেউ বাধা তৈরি করে তাদেরকে শক্তভাবে জবাব দিতে হবে। সম্মিলিত কাজের মাধ্যমে নৌকাকে আবারও বিজয়ী করতে হবে। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগ ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রায়ত নেতৃবৃন্দের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং সভায় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।
সভা পরিচালনার পাশাপাশি সাধারণ সম্পাদক তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ৫ম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জয়ী করতে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাবে। উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রাকে কেউ রুখতে পারবে না। জনগণ উন্নয়ন চায়, কোনো নাশকতা, বোমাবাজি ও অগ্নিসন্ত্রাস চায় না। জনগণের কাছে উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে কাজের মাধ্যমে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে নৌকার বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই।
এসময় তিনি ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচী নিয়েও আলোকপাত করেন। উপস্থিত নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসের কর্মসূচি গ্রহণ করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, জি এম.জেড কয়েছ গাজী, ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, বিজিত চৌধুরী, এডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, মো. সানাওর, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আজাহার উদ্দিন জাহাঙ্গীর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন লোকমান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আসমা বেগম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ, শ্রম সম্পাদক আজিজুল হক মঞ্জু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ হোসেন রবিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্যবৃন্দ আজম খান, আব্দুল আহাদ চৌধুরী মিরন, মো. আব্দুল আজিম জুনেল, মুক্তার খান, এডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদ সারোয়ার সবুজ, এমরুল হাসান, সুদীপ দেব, সৈয়দ কামাল, সাইফুল আলম স্বপন, তাহমিন আহমেদ, রোকসানা পারভীন, জাফর আহমদ চৌধুরী, তৌফিক বক্স লিপন, জামাল আহমদ চৌধুরী, খলিল আহমদ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, মহসিন চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুহেদ, জুমাদিন আহমেদ।