উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় সিলেট শিক্ষা বোর্ডে ৮৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। গতবছর এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭১ দশমিক ৬২ শতাংশ। যা এ বছর ১২ দশমিক ৭৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, সিলেটের তথ্যানুযায়ী, এ বছর সিলেট শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৮১ হাজার ১ শত ৬৫ (পুরুষ ৩৩ হাজার ৮ শত ১১ এবং মহিলা ৪৯ হাজার ৩ শত ৫৪) জন। এর মধ্যে পাস করেছেন মোট ৭১ হাজার ১২ (পুরুষ ২৮ হাজার ৩ শত ৫১ এবং মহিলা ৪২ হাজার ৬ শত ৬১) জন শিক্ষার্থী। বাকি ১২ হাজার ১ শত ৫৩ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন।
এ বছর সিলেট শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন মোট ৬ হাজার ৬ শত ৯৮ জন শিক্ষার্থী। যা মোট ফলাফলের ৯ দশমিক ৪ শতাংশ। এছাড়া জিপিএ-৪ পেয়েছেন ২০ হাজার ৩ শত ৩৫ (২৮ দশমিক ৬ শতাংশ) জন, জিপিএ-৩ পেয়েছেন ২৮ হাজার ৭ শত ২৫ (৪০ দশমিক ৫ শতাংশ) জন, জিপিএ-২ পেয়েছেন ১৪ হাজার ২ শত ৩(২০ শতাংশ) জন এবং জিপিএ-১ পেয়েছেন ১হাজার ৫১ (১ দশমিক ৫শতাংশ) জন শিক্ষার্থী।
তাছাড়া এ বছর সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা হচ্ছে ১ হাজার ১২ যা মোট জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ১৫ দশমিক ১ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৫ হাজার ৩ শত ২৩(৭৯ দশমিক ৫শতাংশ) জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৩ শত ৬৩ (৫ দশমিক ৪শতাংশ) জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
এদিকে, ফলাফল ঘোষণার দিন পূর্বনির্ধারিত থাকলেও সিলেট সিলেট সরকারি মহিলা কলেজে গিয়ে দেখা যায় ফলাফল প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একেবারে নেই বললেও চলে। বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত একাধিক শিক্ষার্থী জানান, সব বিষয়ে পরীক্ষা না হওয়ায় সবার মনে তেমন উৎসাহ-উদ্দীপনা নেই। তাছাড়া অনেকেই ঘরে বসে ফলাফল পেয়ে যাওয়ায় কলেজে আসেনি।
সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নাজমীন ইসলাম চৌধুরী বলেন, পূজার ছুটির কারণে আজকে আমাদের বিদ্যালয়ে মেয়েদের উপস্থিতি একেবারে কম৷ তবে ইতোমধ্যে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের ফলাফল আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েছেন৷
প্রফেসর নাজমীন বলেন, আমাদের কলেজে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৮৩৬ জন। পাস করেছে ৮২১ জন৷ ১৫ জন শিক্ষার্থী ফেল করেছে। পাশের হার ৯৮.২১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৮৪ জন৷
তিনি আরও বলেন, ‘যদি সব বিষয়ে পরীক্ষা হত, তাহলে ওই পরীক্ষার মূল্যায়ন দিয়েই শিক্ষার্থীরা অনেক দূর এগিয়ে যেত। এখন এইচএসসির ফলাফলের কোন উপকারিতা তারা পাবে না। তাদের নির্ভর করতে হবে ভর্তি পরীক্ষার ওপর৷ এমনকি পুরো পরীক্ষা হলে আমাদের বিজ্ঞান বিভাগ এবং অন্যান্য সব বিভাগেও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বাড়ত৷’