জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে নির্ধারিত বয়স সীমার সকল শিশুদের টিকা কেন্দ্রে নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।
সারা দেশের মতো ১৮ জুন তারিখে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৪২ ওয়ার্ডে ৩৪৮টি টিকা কেন্দ্রে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। একই সাথে মায়েদের স্বাস্থ্য সচেতনতায় ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ) সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সভা কক্ষে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়।
সিসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ’র সঞ্চালনায় সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বদরুল হক। ক্যাম্পেইন বাস্তবায়নে সিসিকের প্রস্তুতি নিয়ে উপস্থাপনা করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম।
এতে সিলেট কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
১৮ জুন সিসিকের সবকটি ওয়ার্ডে একযোগে এই ক্যাম্পেইন পালিত হবে। কর্মসূচির আওতায় নিয়মিত, স্থায়ী, অস্থায়ী ও অতিরিক্ত টিকা কেন্দ্রে ৭৮ হাজার ১২৯ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সিসিক।
জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ৮৮৬৫ জন এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৬৯২৬৪ জন শিশুকে এর আওতায় আনা হবে।
সিসিকের ৪২ ওয়ার্ডে ১টি ইপিআই স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র, ৩২ ইপিআই নিয়মিত কেন্দ্র, ২০৮টি ইপিআই অস্থায়ী টিকাদান, ৮২টি ভিটামিন এ এর অস্থায়ী কেন্দ্র এবং অতিরিক্ত ২৫টি কেন্দ্রে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
সিসিকের এই কর্মসূচী বাস্তবায়নে ৮৪ জন সুপারভাইজার, ৬৯৬ জন স্বেচ্ছাসেবি ও সিসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা দায়িত্ব পালন করেন।