সিলেট জেলায় ২০ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে গতকাল। সিলেট জেলার ৪ উপজেলায় ভোটযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ৫৮ প্রার্থী। এরমধ্যে জামানত হারিয়েছেন ২০ জন।

নির্বাচনি আইন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট আসনে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ না পেলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।

প্রথম ধাপে সিলেট জেলায় জামানত বাতিলের তালিকায় রয়েছেন  ১১ চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ৯ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী।

এর মধ্যে সিলেট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়া ৩ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ নেতা মিল্লাত আহমদ চৌধুরী (ঘোড়া), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আহাদ মিয়া (দোয়াত-কলম) ও শ্রমিক লীগ সিলেট জেলা সভাপতি মো. এজাজুল হক (মোটরসাইকেল)।

সিলেট সদর উপজেলায় জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৪ ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর। তারা হলেন- বিএনপি নেতা নিজাম আহমদ (টিউবওয়েল), বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম (তালা), আওয়ামী লীগ নেতা বিলাশ বোনার্জী (বৈদ্যুতিক বাল্ব) ও আওয়ামী লীগ নেতা রথীন্দ্র লাল দাস (বই)।

দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ২ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তারা হলেন – উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. মইনুল ইসলাম (আনারস) ও আঞ্চালিক নাটকের অভিনেতা মো. সাহেদ মোশারফ (কাপ পিরিচ)। ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী – স্বতন্ত্র আলী আছগর খাঁন শামীম (চশমা) ও ছাত্রলীগ নেতা মো. আব্দুর রহমানের (উড়োজাহাজ) জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

বিশ্বনাথ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়া ৬ জন হারিয়েছেন জামানত। তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী আকদ্দুছ আলী (হেলিকাপ্টার), উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক যুক্তরাজ্য প্রবাসী গৌছ খান (কই মাছ), যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ এস. আলী এনামুল হক চৌধুরী (মোটর সাইকেল), যুক্তরাজ্যের ডরসেট আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবাসী আব্দুল রোশন চেরাগ আলী (ঘোড়া), যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও যুবলীগের সহ-সভাপতি প্রবাসী শমসাদুর রহমান রাহিন (শালিক) ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিএনপি নেতা সফিক উদ্দিন (উট)।

একই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়া ২ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তারা হলেন – উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি পার্থ সারথি দাশ পাপ্পু (টিয়া পাখি) ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কাওছার খান (তালা)।

গোলাপগঞ্জ উপজেলায় কেবলমাত্র ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আকমল হোসেনের (বই) জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

 বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া সিলেটের চার উপজেলার মোট ৩০২টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় গতকাল। উপজেলাগুলোতে মোট ভোটার সংখ্যা ছিলো ৮ লক্ষ ১৪ হাজার ৫২ জন।