সিলেট ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিজয় দিবস উদযাপন

আজ ১৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর কৃতজ্ঞতায় দেশ মাতৃকার জন্য আত্মদানকারী শহিদদের স্মরণের মাধ্যমে সিলেটের স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ সিলেট ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির অসীম সাহস আর চিরগৌরবের দিন মহান বিজয় দিবস-২০২২ পালিত হয়েছে।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। মহান বিজয় দিবসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে সুসজ্জিত করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল আবু হায়দার মো. আসাদুজ্জামান, পিএইচডি; নবাগত অধ্যক্ষ লে. কর্নেল মো. রোকনুজ্জামান খান; উপাধ্যক্ষ, শিক্ষকমন্ডলী, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীবৃন্দ।

অনুষ্ঠান শুরুর পর মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাণী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী ও সেনাবাহিনী প্রধানের বাণী পাঠ করে শোনান নির্বাচিত শিক্ষকমণ্ডলী। আলোচনা সভায় মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে অনুভূতি প্রকাশ করে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা।

এরপর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে একক ও দলীয় সংগীত, নৃত্য, অভিনয় এবং আবৃত্তিতে বিজয়ের আনন্দ ফুটিয়ে তোলা হয়, যা উপস্থিত সকলকে মোহিত করে।

বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের, বার্ষিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের এবং এসএসসি-২০২২ বোর্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার এবং ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

প্রধান অতিথির ভাষণে অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বাঙালির মহাজাগরণের পথিকৃৎ, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান আজীবন বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। তবেই আমরা স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারব। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে। ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতার মর্যাদা আমাদেরই রক্ষা করতে হবে। এর মাধ্যমেই সার্থক হবে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মত্যাগ আর অগনিত মানুষের ত্যাগ-তিতিক্ষা। এছাড়া মহান বিজয় দিবস পালনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও অর্জন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে তুলে ধরলেই অর্থবহ হবে মহান বিজয় দিবসের সব আনুষ্ঠানিকতা।

পরিশেষে তিনি অনুষ্ঠান আয়োজনে নিয়োজিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।