কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ, সিলেট এর সাবেক সহ সভাপতি, বিশিষ্ট কবি ও গল্পকার সেলিম আউয়াল বলেছেন, সত্য ও সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠায় সাহিত্যের ভূমিকা অপরিসীম। সাহিত্যই জীবন ও সমাজের প্রতিচ্ছবি। সাহিত্যিকগণ ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি-কালচার, মানবতাবোধ এবং পৃথিবীর করুণ আর্তনাদ সমাজের তুলে ধরেন। কবি ও সাহিত্যিকগণ মনের উৎকর্ষ সাধন করে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের আঁকাবাঁকা চড়াই-উতরাই পথ পেরিয়ে আবিষ্কার করেন সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত। সেই দিগন্তের দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তা-চেতনায় নতুন পথ আবিষ্কার করেন। সেই নতুন পথ ধরে এগিয়ে যায় সাহিত্য ও সমাজ। সাহিত্যের প্রয়োজনে সমাজ এবং সমাজের প্রয়োজনে সাহিত্য একে অপরের পরিপূরক। বাস্তবিক সমাজব্যবস্থা রঙিন ও কল্যাণকর হয়ে ওঠে সাহিত্যের সংস্পর্শে। সাহিত্যে যেমন সমাজ উঠে আসে, সমাজেও তেমন সাহিত্য সমাদৃত হয়। তিনি সুস্থ সংস্কৃতি ও সমাজ ব্যবস্থার কল্যাণে সাহিত্যের উৎকর্ষতা সাধনে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
তিনি সোমবার (১২ জুন) বিকেলে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে সিলেট কেন্দ্রীয় লেখক ফোরাম আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিলেট কেন্দ্রীয় লেখক ফোরামের সভাপতি আবু মালিহার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শফিক আহমদ শফির পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক কবি মোঃ আমিনুল ইসলাম, অগ্রণী ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত ডিজিএম হিফজুর রহমান, সিলেট জেলা বারের আইনজীবী এডভোকেট আব্দুল আহাদ, প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান পাপড়ি’র স্বত্বাধিকারী গল্পকার কামরুল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী আকতার, পূবালী ব্যাংকের কর্মকর্তা শাহেদ শাহরিয়ার, সিলেট ইসলামী সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাযহারুল ইসলাম জয়নাল, ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা জহির উদ্দিন জালাল, বিশিষ্ট লেখক মোঃ আলমগীর, সাংবাদিক আনিসুর রহমান, ইডেন গার্ডেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক আব্দুল কাদির জীবন, ছড়াকার কবির আশরাফ ও কবি জহুর মুনিম।
সভাশেষে প্রধান অতিথি কবি মোঃ আমিনুল ইসলামকে সভাপতি ও সাংবাদিক শফিক আহমদ শফিকে সাধারণ সম্পাদক করে আগামী ২০২৩-২০২৫ মেয়াদের জন্য সিলেটে কেন্দ্রীয় লেখক ফোরামের ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন।