সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) ‘কৃষিবিদ দিবস ২০২৪’ পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিবসটির উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ম্যুরালে এসে শেষ হয়। সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সিলেটের কৃষিবিদরা।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ভেটেরিনারি, এনিম্যাল এন্ড বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ডা.জামাল উদ্দিন ভূঞা’র পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সহ সাধারণ সম্পাদক ড. সালাহ্ উদ্দীনের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন সিলেট শাখার সভাপতি কৃষিবিদ মো. সাজিদুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনের সদস্যবৃন্দ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তাবৃন্দ ও অন্যান্য কৃষিবিদরা বক্তব্য প্রদান করেন। আলোচনার মাঝে জ্যেষ্ঠ কৃষিবিদদেরকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, “বাঙালির জাতীয় জীবনে আজকের দিনটি একটি স্মরণীয় দিন। ১৯৭৩ সালে আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের প্রধান পেশা কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা প্রদান করেন। অবশ্য তখন মর্যাদা দেয়া হয়েছে চিকিৎসক ও প্রকৌশলীদেরও। কিন্তু এর পর থেকে বিভিন্ন সরকারের আমলে এই দিনটির গুরুত্ব নিয়ে কোনো আলাপ আলোচনা হয়নি। পরবর্তীতে ২০১১ সাল থেকে এই দিনটিকে কৃষিবিদ দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।”
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ কিংবা বিদেশের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কৃষি, পশু চিকিৎসা, পশু পালন, কৃষি অর্থনীতি, মৎস্য, কৃষি প্রকৌশল, এমনকি কৃষি বনায়ন ইত্যাদি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনকারী পেশাজীবীরা কৃষিবিদ হিসেবে পরিচিত। কৃষি শিক্ষা, গবেষণা, সম্প্রসারণসহ নানামুখী উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত থেকে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং সার্বিকভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখার সুবাদে কৃষিবিদগণ আজ এক মর্যাদাবান পেশাজীবী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর এ দিনটিকে কৃষিবিদ দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে কৃষিবিদ দিবস হিসেবে নানা আয়োজনের মাধ্যমে পালন করে আসছে।