দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কৃষি শিক্ষার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। ২ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী দিবস উদযাপন হয় বলে জানিয়েছে জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর। এ উপলক্ষ্যে বেলা ১২টায় প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
শোভাযাত্রাটি সমগ্র ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বৈশাখী চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা। পরবর্তীতে বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ানো হয়। টিএসসির আঙ্গিনায় বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কেক কাটা ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা এসময় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. সাদ উদ্দিন মাহফুজের সঞ্চালনায় সেখানে আরো বক্তব্য রাখেন ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. ছিদ্দিকুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ডবায়. শাহ আলমগীর, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. শহীদুল ইসলাম, সাদা দলের সভাপতি প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, কর্মচারী সমিতির সভাপতি শাহ আলম সুরুক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিকৃবি শাখার সভাপতি আশিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. এমাদুল হোসেন প্রমুখ।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেন, ‘প্রতি বছর কৃষি বিজ্ঞানী তৈরি করে সারা বাংলাদেশ ছড়িয়ে দিচ্ছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। বিসিএস পরীক্ষাসহ দেশে বিদেশে সিকৃবির গ্র্যাজুয়েটদের ছড়াছড়ি। এরা সবাই এখন স্ব স্ব ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল করে আছে এবং বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে আমাদেও ক্যাম্পাস। কৃষি বিষয় প্রতিষ্ঠানগুলোতো বটেই, ব্যাংক থেকে সচিবালয় সবখানেই এখন সিকৃবির গ্রাজুয়েটদের দেখা মিলে। একজন ভাইস চ্যান্সেলরের পাশাপাশি শিক্ষক হিসেবে বিষয়টি নিয়ে আমি বেশ গর্বিত। তাদের একাডেমিক জ্ঞানটুকু মাঠ পর্যায়ে সাধারণ জনগনের কাজে লাগছে।’
অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেছেন পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান। এর আগেই দিবসটি উপলক্ষ্যে জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর থেকে ভাইস চ্যান্সেলরের বাণী প্রচার করা হয়।