সিলেটে ৪৫ দিনব্যাপী ইমাম প্রশিক্ষণের সমাপনী

সিলেটে সমভাপপ্ত হলো ৪৫ দিনব্যাপী ইমাম প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণে সাতটি জেলার ১০০ জন ইমাম অংশ গ্রহণ করেন।

সোমবার (৪ মার্চ) নগরীর ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিকৃবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম ভিত্তি হলো স্মার্ট নাগরিক। স্মার্ট বাংলাদেশের প্রত্যাশিত নাগরিক গড়ে তুলতে হলে আমাদের ইমামদেরকে সার্বিকভাবে চৌকস হয়ে উঠতে হবে। যেহেতু ইমাম ও খতিবদের বয়ানে মানুষ প্রভাবিত হন, তাই স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষিত স্মার্ট ইমামরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদূরপ্রসারী চিন্তার ফসল হল ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এই ফাউন্ডেশনের অধীনে জীবনমুখী প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রতি শুক্রবার দেশের প্রায় চার লাখ মসজিদের মিম্বর থেকে শান্তি ও সম্প্রীতির বাণী পৌছে দিচ্ছেন ইমাম ও খতিবরা। তারা প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে সমাজে সচেনতা সৃষ্টি করে যাচ্ছেন।

ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপ-পরিচালক মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সিলেট বিভাগের চার জেলাসহ কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নির্বাচিত একশো ইমাম অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক মো. মহিউদ্দিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটর উপপরিচালক মো. খয়ের উদ্দিন মোল্লা ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা হারুনুর রশিদ।

সৈয়দ ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির সমাজ বিজ্ঞান প্রশিক্ষক মো. আনোয়ারুল কাদির। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রশিক্ষণার্থী ইমাম মাওলানা সিকান্দার আলী, মাওলানা রুহুল আমীন ও মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।

সভাপতির বক্তব্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির উপ-পরিচালক শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, চলমান ব্যাচটি প্রশিক্ষণার্থী ইমামদের ১১৩৯ তম ব্যাচ। সরকার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে ধারাবাহিকভাবে দেশের ইমামদেরকে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ দিয়ে আত্মনির্ভর হিসেবে গড়ে তুলছে। প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ইমামরা দ্বীনি কর্মকান্ডে নেতৃত্বদানের পাশাপাশি আর্থসামাজিক উন্নয়নে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন।