ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ঢাকার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেছেন, সরকার সারাদেশের ইমামদেরকে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ দিয়ে আত্মনির্ভর হিসেবে গড়ে তুলছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে দীর্ঘ প্রশিক্ষণ নিয়ে ইমামরা দ্বীনি কর্মকান্ডে নেতৃত্বদানের পাশাপাশি আর্থসামাজিক উন্নয়নে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন। এমনকি তারা বাল্যবিবাহ, যৌতুক, নিরক্ষরতা, মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী জনসচেতনতা সৃষ্টিতে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছেন।
শনিবার (২৬ আগস্ট) নগরীর ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে ৪৫দিন ব্যাপি সাত জেলার ইমামদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপ-পরিচালক মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সৈয়দ ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সিলেট বিভাগের চার জেলাসহ কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নির্বাচিত একশো ইমাম অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সুনামগঞ্জ জেলা উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের কম্পিউটার প্রশিক্ষক মুবিনুল হক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান আরও বলেন, প্রশিক্ষিত ইমামদের ভূমিকার কারণে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, যৌতুক এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যুহার কমানো সম্ভব হয়েছে। মধ্যপন্থার দেশ হিসেবে আমরা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছি।
সভাপতির বক্তব্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির উপ-পরিচালক শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদূরপ্রসারী চিন্তার ফসল হল ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এই ফাউন্ডেশনের অধীনে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রতি শুক্রবার দেশের প্রায় চার লাখ মসজিদের মিম্বর থেকে শান্তি ও সম্প্রীতির বাণী পৌছে দিচ্ছেন ইমাম ও খতিবরা। তারা প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে নানাভাবে জনসচেনতা সৃষ্টি করে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে প্রধানসন্ত্রী শেখ হাসিনা ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে বয়োবৃদ্ধ ইমামদেরকে আর্থিকভাবে সহায়তা করে নজির স্থাপন করছেন।