সিলেট নগরীর বন্দরবাজার এলাকার এক বাইসসাইকেল মেরামতকারীকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায়ে তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুরে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শাহাদৎ হোসেন প্রামাণিক এ রায় ঘোষণা করেন বলে নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী জয়নাল আবদীন।
রায়ে দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চাঁদপুর জেলার মতলব থানার বইয়েরা গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে ও বর্তমানে সিলেটের কানিশাইলের বাবুল মিয়ার কলোনির বাসিন্দা ঝাড়ু মিয়া, সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি এলাকার সবুজ মিয়ার ছেলে জাকির ও মৌলভীবাজারে কুলাউড়া উপজেলার পাঁচপীর গ্রামের আতর মিয়ার ছেলে লাল মিয়া ওরফে লালু। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের তিনজনই পলাতক রয়েছেন।
মামলার বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, ২০০৭ সালের ২৮ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে সিলেট নগরীর বন্দরবাজারে বাইসাইকেল মেরামতকারী আবুল কালাম (৪০) দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন। তিনি নগরীর কাজিটুলা এলাকার দুলু মিয়ার কলোনির বাসিন্দা ছিলেন এবং বন্দরবাজারের সন্ধ্যাবাজার এলাকায় বাইসাইকেল মেরামতের কাজ করতেন।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সুমনা খাতুন বেদনা বাদী হয়ে পরদিন ২৯ নভেম্বর সিলেটের কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা (১২৪(১১)২৩) দায়ের করেন।
এর প্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ৯ মে কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সাইদ উদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট নম্বর-৩৩৬) দাখিল করেন। পরবর্তীতে ২০১১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি একই মামলায় তিনজনকে অভিযুক্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র (চার্জশিট নম্বর-১২৪) দাখিল করেন কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রোকনুজ্জামান।
মামলাটি বিচারের জন্য ২০১৩ সালে এ আদালতে স্থানান্তরিত হলে দায়রা-১৮৫৪/১৩ মূলে বিচারকার্য শুরু হয়। এরপর ২০০৮ সালের ১৪ আগস্ট এ মামলার চার্জ গঠনের পর সাক্ষীর ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করা হয়।
মামলায় বাদীপক্ষে ছিলেন আদালতের পিপি সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল ও আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন রাষ্ট্রপক্ষের নিয়োজিত আইনজীবী ঝর্ণা বেগম।