বৃহত্তর সিলেটের সকল পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে আগামীকাল সোমবার (৩১ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার পণ্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সিলেট বিভাগীয় ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
ধর্মঘট পালন উপলক্ষে মালিক-শ্রমিকদের এক যৌথ সভা আজ রোববার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট জেলা ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেট জেলা ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. দিলু মিয়ার সভাপতিত্বে ও সিলেট বিভাগীয় ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শাব্বীর আহমদের পরিচালনায় সভায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য দেন, সিলেট জেলা ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নাজির আহমদ স্বপন, জেলা ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরি সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর, জেলা ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক জাকির হোসেন তালুকদার, বৃহত্তর সিলেট পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল আমিন, জাফলং স্টোন ক্রাশার মালিক সমিতির সভাপতি বাবলু বখত, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস উদ্দিন লিপু, ধোপাগুল স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সৈয়দ সালেহ আহমদ শাহনাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নুল হক, জৈন্তাপুর বেলচা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আলী আকবর, সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম, জেলা ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, শ্রমিক নেতা বিলাল আহমদ, আব্দুল মতিন ভিআইপি প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সিলেটের পাথর কোয়ারি বন্ধ থাকায় দশ লক্ষাধিক মানুষ রোজগার হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সাম্প্রতিক প্রলয়ঙ্কারী বন্যায় বৃহত্তর সিলেটের মানুষের জীবন ও জীবিকা মারাত্মক সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে। আয়-রোজগার না থাকায় প্রান্তিক এ শ্রমজীবী মানুষগুলো দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সিলেটের পাথর কোয়ারি সংশ্লিষ্ট এলাকাসমূহে বর্তমানে দুর্ভিক্ষাবস্থা বিরাজ করছে। বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এবং দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকটের এ ক্রান্তিকালে রোজগারবঞ্চিত সিলেটের লাখ লাখ মানুষ। পাথর পরিবহনে সংশ্লিষ্ট হাজার হাজার ট্রাক শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। শত শত ট্রাক মালিক, স্টোন ক্রাশার মালিক ও ব্যবসায়ী ব্যাংক ঋণে জর্জরিত হয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় দিনযাপন করছেন। অথচ পাথর কোয়ারি বন্ধ রেখে বিদেশ থেকে রিজার্ভের ডলার খরচ করে পাথর আমদানি করে উন্নয়ন কাজ চালানো হচ্ছে। ফলে রাষ্ট্রীয় রিজার্ভ সংকটে নিপতিত হয়েছে। লাখো মানুষের জীবন রক্ষা এবং রাষ্ট্রীয় রিজার্ভের ডলার সাশ্রয়ের জন্য সিলেটের পাথর কোয়ারি জরুরি ভিত্তিতে খুলে দেয়া আবশ্যক।