স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা কবলিত সিলেটের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে ৩য় দিনের মতো সহস্রাধিক মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।
রোববার (১৯ জুন) সিলেট নগরীর মির্জাজাঙ্গাল মন্দির স্কুল, শেখঘাট ময়মোননেছা স্কুল, কানিশাল, বেতের বাজার ইউসেফ স্কুল ও টিলাগড়ের আশ্রয় কেন্দ্রে রান্না করা খিচুড়ী ও পোলাও বিতরণ করা হয়।
বাসদ সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে সিলেটের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে গত ১৭ জুন থেকে রান্না করা খিচুড়ী ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
খাদ্য বিতরণকালে বাসদ সিলেট জেলা সমন্বয়ক আবু জাফর বলেন, আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো চেষ্টা করছি। আপনারা সবাই এই প্রকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ভূমিকা রাখবেন প্রত্যাশা করছি। বাসদের মাধ্যমে আপনাদের ত্রাণ দিতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন।
তিনি বলেন, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে উদাসীনতার কারণে মানুষ অমানবিক ও কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। অন্য দিকে বাজার মনিটরিং এর দুর্বলতার কারণে প্রতিটি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়ে। মানুষের অসহায়ত্ব এর সুযোগে ব্যবসায়ীরা মুনাফা লুটছে।
তিনি অবিলম্বে বাজারের জিনিসপত্রের দাম মনিটরিং করার দাবি জানান।
খাদ্য বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন, বাসদ জেলা সদস্য প্রণব জ্যোতি পাল, শ্রমিক নেতা মন্জু আহমদ, হারুন মিয়া, শুকুর আলী, মানিক মিয়া, ইউসুফ আলী, উজ্জল আহমদ।
স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে ছাত্রফ্রন্ট, শ্রমিক ফ্রন্টের কর্মীরা এবং সামাজিক সংগঠন উষা’র সদস্যরা সারাদিন কাজ করেছেন।
বাসদ জেলা সদস্য প্রণব জ্যোতি পাল জানান, বাসদের ত্রাণ কার্যক্রম অব্যহত থাকবে, আগামীকালও সহস্রাধিক মানুষকে রান্না করা খাবার ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, আমাদের ত্রাণ কার্যক্রমে অনেকেই সহযোগিতা করছেন, আজ জাসদ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার পক্ষ থেকে রান্না করা পোলাও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঢাকার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষকে আমাদের সহযোগিতায় কোম্পানিগঞ্জে খিচুড়ি ও রান্না খাবার বিতরণ করেছে।