সিলেটে ১২ বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিয়াজী শহিদুল আলম চৌধুরী এই রায় ঘোষণা করেন। এসময় ৩ আসামী আদালতে উপস্থিত থাকলেও একজন ছিলেন পলাতক।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামীরা হলেন মো. খোকন, মো. ফয়সল, মো. আনাই ও মো. আনোয়ার। এদের মধ্যে মো. আনোয়ার পলাতক।
মামলা ও রায়ের বিষয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর ইশতিয়াক আহমেদ চৌধুরী জানান, মামলায় অভিযুক্ত ৪ আসামীর সবার বিরুদ্ধেই অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।
২০০৯ সালের ৪ এপ্রিল ভিকটিম তার ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে সিলেট ক্যান্টনমেন্টের ফায়ারিং প্রশিক্ষণ মাঠ সংলগ্ন ফরেস্টের বাশ বাগানের টিলায় গরু চরানোর জন্য যায়। সেখানে আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা আসামীরা একা পেয়ে দলবদ্ধভাবে শিশুটিকে ধর্ষণ করে।
ঐদিন ভিকটিমের ছোট ভাই গরু সহ বাড়ি ফিরলেও ভিকটিম বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। অনেক খোঁজাখুঁজি শেষে পরদিন টিলার উপর একটি গর্তের মধ্যে মেয়েটির লাশ খুঁজে পান তারা। এরপর মেয়েটির বাবা আবুল কাশেম বাদী হয়ে বর্তমান শাহপরান থানায় (পূর্বের কোতোয়ালী থানা) মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে আদালতের নিকট আসামীদের দেয়া জবানবন্দি ও ১৫ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হয়। পরে দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে আদালত এ ঘটনায় ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা প্রদান করেন।