টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুখস্মৃতি নিয়ে এবার নারী এশিয়া কাপ খেলতে নামবে বাংলাদেশ দল। একে তো ঘরের মাঠে খেলা, তার ওপরে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন- তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাশা বেশি থাকবে নিগার সুলতানা জ্যোতির দলের ওপর।
শনিবার (১ অক্টোবর) সকাল ৯টায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আউটার মাঠে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে লড়বে স্বাগতিক বাংলাদেশ। সাত দলের অংশগ্রহণে এ আসরের প্রথম রাউন্ডে সব দলের সঙ্গে একটি করে মোট ছয় ম্যাচ পাবে প্রতিটি দল।
এবারের এশিয়া কাপে আর প্রথাগত ‘ভালো খেলার লক্ষ্য’ না নিয়ে সরাসরি শিরোপা ধরে রাখার মিশনের কথা জানিয়েছেন নারী দলের অধিনায়ক জ্যোতি। তার মতে, এরই মধ্যে ভালো খেলার ধারাবাহিকতায় রয়েছে দল। সেটি ধরে রেখে আবার চ্যাম্পিয়ন হতেই নামবে বাংলাদেশ।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সিলেটের মাঠে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে জ্যোতি বলেন, ‘ভালো খেলার সময় কিন্তু শেষ। যেহেতু শিরোপা আমাদের ছিল, সুতরাং চেষ্টা করবো এটি যেন আমাদেরই থাকে। ভালো ক্রিকেট কিন্তু আমরা এরই মধ্যে খেলছি। এমন তো না যে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলছি না। ভালো ক্রিকেট খেললে শিরোপা আমাদের ঘরে আসবে।’
ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোনোর কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিজের ঘরে ওভাবে চ্যালেঞ্জ মনে করছি না। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলা, অন্য দলের শক্তিও আমরা দেখছি না। আমরা আমাদের ক্রিকেটটা খেলতে চাই মাঠে।’
তবে দলের সবাই মিলে অবদান রেখে জেতার চ্যালেঞ্জের কথা ভোলেননি টাইগ্রেস অধিনায়ক। এ বিষয়ে তার ভাষ্য, ‘এখানে চ্যালেঞ্জ বলতে এটা থাকবে যে আমরা সবসময়ই বলি আমরা যে ম্যাচগুলো জিতি, সেখানে পুরো দলের অবদান থাকে। ব্যক্তিগতভাবে একজন খেলোয়াড় অনেক বেশি ভালো খেলার পর কোনো ম্যাচ জিতেছি তা কিন্তু নয়।’
তিনি বিলেন, ‘দেখা যাচ্ছে যে সবার ছোট ছোট অবদান থাকে সে ম্যাচগুলো আমরা জিতেছি। সুতরাং চ্যালেঞ্জ আমার কাছে মনে হয়, আমাদের পক্ষ থেকে সেটাই থাকবে যে আমরা সবাই মিলে যে ম্যাচে পারফর্ম করতে পারবো, করতে পারাটাই থাকবে চ্যালেঞ্জ। সবাই মিলে একসাথে অবদান রাখতে পারাই থাকবে চ্যালেঞ্জ।’