সিলেট কেন্দ্রিয় শহিদমিনার থেকে ফেসবুক পেজে করা লাইভের প্রতিবাদ জানিয়েছে সিলেটের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন।
এক যৌথ বিবৃতিতে ওই লাইভে শহিদ মিনারকে অবমাননা করা হয়েছে অভিযোগ এনে এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেট, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেট, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ, জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ, নজরুল সংগীত শিল্পী পরিষদ, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা, বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার, বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদ, রবীন্দ্র সংগীত শিল্পীসংস্থা, বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে এ বিবৃতি প্রেরণ করা হয়।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ২৮ জানুয়ারি রবিবার অনুমান দুপুর ১টায় বাঙালি জাতির অস্তিত্বের স্মারক সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে একাধিক ফেসবুক পেজ থেকে শহিদ মিনারের অস্তিত্ব এবং ভাবগাম্ভীর্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত একটি লাইভ সম্প্রচার করে বিভিন্ন প্রপাগান্ডা করা হয়। যা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের সামিল এবং একটি জাতির অস্তিত্বের স্মারকের বিরুদ্ধে অবস্থান। প্রচারিত লাইভে শহিদমিনারের অস্তিত্বকে কলুষিত করে এবং উপস্থিত দর্শনার্থী, সাধারণ ছাত্রছাত্রীকে জোরপূর্বক হেনস্তা করা হয়। যা কোনভাবে সুস্থ সাংবাদিকতার মধ্যে পড়ে না।
নেতৃবৃন্দ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে আসা অসাধু সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে জাতীয় অস্তিত্বের স্মারকের বিরুদ্ধে অবস্থানের কারনে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে জোর দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সিলেটের সাংবাদিকতার দীর্ঘদিনের গৌরবময় ঐতিহ্য রয়েছে, যা গুটিকয়েক অসাধু সাংবাদিকের জন্য বিনষ্ট হোক তা কোনভাবে কাম্য নয়। এই পরিকল্পিত অপপ্রচার ইতিমধ্যে দেশ বিদেশে এবং সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। একই সাথে সিলেটে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের কাছে সাংবাদিকতার নাম করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে অনুরোধ জানান।
সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে উল্লেখিত ঘটনার দ্রুত সুষ্ঠু বিচারের পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে পরবর্তী বৃহত্তর কর্মসূচী গ্রহণের কথা জানান।