লালন সাঁইয়ের গানের চরণ লিখে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ করেছে সিলেটের লালনপ্রেমীরা। রোববার (৫ মে) বিকেল ৪টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরা লালনপ্রেমীর ব্যানারে আয়োজিত এই প্রতিবাদ কর্মসূচির প্রতিপাদ্য ছিল ‘আমরা লালনের গান গাই, গানই আমাদের প্রতিবাদের ভাষা’।
সংস্কৃতিপ্রেমীদের এই নিরব প্রতিবাদে অংশ নেন সিলেটের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনের বিশিষ্টজনরা। এসময় লালনের কালজয়ী অসংখ্য গান পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীরা।
এর আগে গত ২৯ এপ্রিল ফেসবুকে লালনের গানের দু’টি চরণ পোস্ট করেছিলেন শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের এক ব্যবসায়ী (৪০)। গানের দুটি চরণ লিখে পোস্ট করার ঘটনায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ উঠলে তাঁকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পরদিন তিনি জামিনের আবেদন জানালে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।
এ ঘটনায় সারাদেশের লালন ভক্তরা প্রতিবাদে ফেটে পড়েন৷ এরই ধারাবাহিকতায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিবাদের আয়োজন করেন লালনপ্রেমীরা। এতে অংশ নেন সিলেটের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনের বিশিষ্টজনরা। এসময় লালনের কালজয়ী গান পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পী প্রদ্যুত লিটন, সায়েম আহমদ ও কনক আচার্য।
সংস্কৃতিকর্মী পল্লব ভট্টাচার্য্য, মৃনাল কান্তি দাশ, নয়ন সরকার নিমু, রেজা রুবেল ও জয়ন্ত কুমার দাশের সমন্বয়ে এই সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক আল আজাদ, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের পরিচালক অনুপ কুমার দেব, নাট্য সংগঠক নিরঞ্জন দে যাদু, কথাকলি সিলেটের নিলাঞ্জন দাশ টুকু, পাঠশালার পরিচালক হুমায়ুন কবির জুয়েল, থিয়েটার বাংলা সিলেটের সভাপতি তাজুদ মিয়া কামালি, ডিবিসি নিউজের সিলেট ব্যুরো প্রধান প্রত্যুষ তালুকদার।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিকর্মী খোয়াজ রহিম সবুজ, রজন চক্রবর্তী, সুব্রত দাস, নাবিল হোসেন, আজমল আলী, মিঠু দাস জয়, রিপেশ দাস, রাহুল সরকার, নিবেন্দু তালুকদার, রাজ দেবনাথ, দ্বীপ দাস, জুবায়ের আহমেদ, বিজয় সিং, চিন্ময় দেব, বিশাল দে বৃত্ত, পৃথম দাস, নোমান আহমদ, আলী হায়দার মিদুল, আফজল হোসেন, জনি কান্ত শর্মা, সোহেল আহমেদ, আব্দুল মতিন লাল ও নির্জর তালুকদার প্রমুখ।