সিলেট নগরীর মিরাবাজারে মা-ছেলে হত্যা মামলায় বাসার কাজের মেয়ে ও তার স্বামীকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসাথে ভিকটিম রোকেয়ার শিশুকন্যা রাইসাকে হত্যা চেষ্টার দায়ে মৃত্যুদন্ড পাওয়া মামুনকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ের আরও একবছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক নুরে আলম ভূঁইয়া এ রায় দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মিসবাউর রহমান আলম জানান, ২০১৮ সালে মীরাবাজার এলাকায় মা রোকেয়া বেগম ও তার ছেলে রবিউল ইসলামকে হত্যা করে বাড়ির গৃহকর্মী তানিয়া আক্তার ও তার প্রেমিক ইউসুফ খান মামুন।
খুন করার আগে রাতে খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে, পরে সকালে তাদের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় মা রুকিয়া বেগমের শরীরে ৯৬টি ও ছেলে রবিউলের শরীরে ৪১টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।
আইনজীবী আরো জানান, গৃহকর্ত্রী রোকেয়া বেগমের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে দ্বন্দ্বের প্রেক্ষিতে ক্ষোভ থেকেই গৃহকর্মী তানিয়া তাকে হত্যা করে।
এরপর, দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হয়। এর আগে আসামি তানিয়া ও তার প্রেমিক মামুন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। মামলার প্রধান স্বাক্ষি ছিল ভিকটিম রোকেয়ার শিশুকন্যা রাইসা।
এদিকে চাপ প্রয়োগ করে দুই আসামির কাছ থেকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের অভিযোগ করে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলের কথা জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।