মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সিলেট জেলার উদ্যোগে ‘মাদকাসক্তদের চিকিৎসা, সামাজিকভাবে পুনর্বাসন এবং আয়বর্ধক কাজে সম্পৃক্তকরণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন মোল্লা বলেন, মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রগুলো মাদকাসক্ত রোগীদের চিকিৎসার পর তাদের নিয়ে গবেষণা করে প্রায়োগিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং নিরাময় কেন্দ্র থেকে কাউন্সিলিং এর বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে। এই মাদকাসক্তদের চিকিৎসার পর পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যায়, যাতে করে তারা নিজেদেরকে কাজে লিপ্ত রাখতে পারে। সরকার মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যে পরিবারে একজন মাদকাসক্ত আছে, সে পরিবারের যে কী কষ্ট, সেটা আমরা উপলব্ধি করতে পারি। সে কারণে অভিযানটাকে আমাদের আরও ব্যাপকভাবে পরিচালনা করে যেতে হবে।
এক্ষেত্রে মাদকাসক্তির খারাপ দিকটি মানুষের সামনে তুলে ধরে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং সমাজের সব স্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করে প্রচার চালানোর আহ্বান জানান তিনি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সিলেট জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মলয় ভূষন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও প্রসিকিউটর মো. জীবন মাহমুদের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলী আক্কাস। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মনোচিকিৎসক শফিউল ইসলাম খালেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এমসি কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শামীমা রাসূল।
কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে বাঁধন মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, নিউ প্রেরণা মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, নিউ প্রশান্তি মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, আহ্বান মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রত্যাশা মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রতিশ্রুতি মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র এবং এইম ইন লাইফ মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র।