সিলেটে বৃক্ষমেলা-২০২৪’র পর্দা উন্মোচন

“বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সিলেটে ১৫ দিনব্যপী বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২৪-এর উদ্বোধন করা হয়েছে। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর প্রতিদিন সকাল ৯টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত জনগণের জন্য উম্মোক্ত থাকবে ওই মেলা।

শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সিলেট বন বিভাগ সিলেটের সরকারী আলিয়া মাদরাসার মাঠে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়। এর আগে, বেলা ১১টায় সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালীর বের হয়ে আলিয়া মাদরাসার মাঠে এসে শেষ হয়।

বৃক্ষমেলা ২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিলেটের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক সুবর্ণা সরকারের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেটের পুলিশ সুপার মাহবুব রহমান, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি জেদান আল মুসা, সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) ডিসি নর্থ জাবেদুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ সিদ্দীকী বলেন, ‘গাছ আমাদের অকৃতিম বন্ধু। কার্বণ ডাই-অক্সাইড বাড়লে আমরা কেউ বাঁচতে পারব না। গাছ অক্সিজেন সরবরাহ করে আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। আমাদের সুজলা-সুফলা দেশ নানান বৃক্ষে সাজানো। এটি মহান সৃষ্টিকর্তার অবদান। এই অবদানকে গুরুত্ব দিয়ে বেশি বেশি গাছ লাগিয়ে মানসম্মত বসবাস যোগ্য সুন্দর একটি দেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের সবার।’

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, দেশকে কিভাবে ভালোবাসতে হয়, কিভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হয় এবং সু-শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হয়। ছাত্রদের এই অবদান আজ গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে।’

সরকারি কর্মকর্তাদের বিষয়ে আবু আহমদ সিদ্দীকী বলেন, ‘আমাদের (সরকারী কর্মকর্তা) নিজেদেরকে পরিবর্তন হতে হবে। এটি হতেই হবে, যাতে আমাদের কাছে কোনো নাগরিক কাজের জন্য এসে যাতে খালি হাতে ফিরে না যায়। আমরা যদি আপ্যায়ন নাও করতে পারি! তবে যেন সেবা গৃহিতাদের সাথে হাসিমুখে কথাবলি। প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসা মানুষগুলো সরকারী অফিসের চেয়ারে বসার সাহস পায়না অথবা সম্মান করে বসতে চায়না। তাদেরকে অনেক সময় আমরা অবজ্ঞার চোখেদেখি। এমন বিষয়গুলো কর্মকর্তাদের খেয়াল রেখে তাদেরকে সম্মানের সাথে সেবা দেওয়া সকল সরাকারী কর্মকর্তাদের নৈতিক দায়িত্ব।’

এসময় সিলেট জেলা ও সিলেট বন বিভাগের সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, বৃক্ষপ্রেমী, এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।