সিলেটে বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা প্রদান

সিলেটে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের উদ্যোগে বিভাগীয় পর্যায়ে নির্বাচিত ৫ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরীর পূর্ব শাহী ঈদগাহস্থ জেলা শিল্পকল্পা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত জয়িতা সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান।

সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী এনডিসি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান বিপিএম-বার, পিপিএম, এসএমপি সিলেটের পুলিশ কমিশনার মোঃ জাকির হোসেন খান পিপিএম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ঢাকার পরিচালক (যুগ্ম সচিব) জাকিয়া আফরোজ, অতিরিক্ত পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ও জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ কর্মসূচির পরিচালক সালেহা বিনতে সিরাজ, সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক এমপি, রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত সৈয়দা জেবুন্নেছা হক।

সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিৎ সিংহ এর স্বাগত বক্তব্যে শুরু হওয়া এ আয়োজনে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সিলেটের উপ-পরিচালক শাহিনা আক্তার।

সিলেট জেলা কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশ গুপ্ত এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণলয়ের এপিসি প্রকল্পের চাইল্ড রাইটস্ ফ্যাসিলিটেটর প্রিয়াংকা দাস রায় এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে “জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ” শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় ৫টি ক্যাটাগরিতে সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতারা হলেন- অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী আছমা কামালী শান্তা, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী অধ্যাপক ডাঃ শামসুন নাহার বেগম, সফল জননী মৌলভীবাজারের কমলী রবিদাশ, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে নতুন জীবন শুরু করেছেন যে নারী হবিগঞ্জের নাজমা আক্তার, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী হবিগঞ্জের স্বপ্না রাণী দেব বর্মা।

অনুষ্ঠানে পাঁ শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে উত্তরীয়, ক্রেস্ট, সম্মাননা চেক ও সনদপত্র প্রদান করেন প্রধান অতিথি সহ অতিথিবৃন্দ।

এছাড়া বিভাগীয় পর্যায়ে রানার্স আপ জয়িতা- সুফিয়া রহমান, মোছাম্মত সেলিনা বেগম, বেগম হাজেরা হাশেম ও বিনতা দেব-কে উত্তরীয় ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে জয়িতা তোমরাই বাংলাদেশের বাতিঘর শীর্ষক স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।