বিএনপির চলমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে সিলেটজুড়ে বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, বাসা-বাড়ীতে তল্লাশী ও গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। একই সাথে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং কারান্তরীণ সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার ও বাসা-বাড়ীতে তল্লাশী বন্ধের জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই সরকার অধঃপতনের সর্বনিম্নে অবস্থান করছে। বিএনপি ভীতিতে গণবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ সরকার এতটাই আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে যে, নেতাকর্মীদের দমনের জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রের যথেচ্ছ ব্যবহার করছে। দেশের গণতান্ত্রিক শক্তি যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে, সেজন্যই দেশজুড়ে বিএনপি’র নেতাকর্মীদেরকে ছাকনি দিয়ে ছেকে ফেলার মতো করে আটকের মাধ্যমে জেলে পুরছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী ও সদস্য সচিব আফসর খান, দুই ছাত্রদল নেতাসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, চলমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন দমিয়ে রাখতে সারাদেশের ন্যায় সিলেটেও বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীদের উপর একের পর এক গায়েবী মামলা দায়ের করা হচ্ছে। দলের নেতাকর্মীরা বাসা-বাড়ীতে থাকতে পারছে না। পরিবার, ব্যবসা বাণিজ্য ছেড়ে সারাদেশের ন্যায় সিলেটের নেতাকর্মীরাও পলাতক জীবন যাপন করছে। তারপরও ক্ষান্ত হচ্ছে না দখলদার সরকার। রাষ্টীয় বাহিনী সমূহকে নির্যাতনের হাতিয়ার হিসাবে যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। অবৈধ সরকারের প্ররোচনায়ই তারা এমনটি করছে।
বিবৃতিতে খন্দকার মুক্তাদির আরো বলেন, ফরমায়েসী তফসিলে একতরফা একটি নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে সরকার। কিন্তু তারা হয়ত বুঝতেই পারছে না যে, ২০১৪ ও ১৮ সালের মত নির্বাচন করে এদেশে টিকে থাকার সুযোগ আর নেই। হামলা-মামলা, গ্রেফতার-নির্যাতন চালিয়ে চলমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না। এদেশে আর কোন প্রহসনের নির্বাচন হতে দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সিলেটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গণগ্রেফতার বন্ধ করে রাষ্ট্র ও সংবিধানের প্রতি তাদের আনুগত্য প্রদর্শনের আহবান জানান মুক্তাদির।