সিলেটে বাড়ছে বৃষ্টি, কমছে তাপমাত্রা

সিলেটসহ সারাদেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা বাড়ছে। সিলেটে শুক্রবার দিবাগত রাতে সিলেটে হালকা বৃষ্টিপাত হয়। এরপর থেকে প্রতিদিনই রাতে হালকা থেকে মাঝারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এছাড়া সোমবার সন্ধ্যা থেকে ফের বৃষ্টি শুরু হয়। ভ্যাপসা গরমের মধ্যে এই বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তি এনে দেয়।

জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহ ধরে সিলেট সারাদেশে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছিল। ভরা বর্ষায়ও বৃষ্টির দেখা পাওয়া যাচ্ছিলনা। বিভিন্ন জেলায় বইছিল তাপপ্রবাহ। এতে মানুষ চাতক পাখির মতো আকাশের দিকে বৃষ্টির আশায় তাকিয়ে ছিল। অবশেষে গত ৩/৪ দিন ধরে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতেও ভাপসা গরম কমছিলনা। তবে রোববার আবহাওয়া অধিদফতর কিছুটা সুখবর দেয়।

তারা জানায়, সিলেটসহ দেশের ৮ বিভাগে অর্থাৎ সারাদেশে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে। এতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে, দূর হতে পারে তাপপ্রবাহ।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, এখন থেকে প্রতিদিনই বিকেল থেকে রাতে হালকা থেকে মাঝারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৯ জুলাই থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে যা ২ আগস্ট পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এসময় রাতের পাশাপাশি দিনেও মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের আভাস রয়েছে।

এদিকে শনিবার থেকে বিকেল হতে রাত পর্যন্ত সিলেটে থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারী বৃষ্টিপাত হলেও রোববার সকাল থেকে ঢাকায় বৃষ্টি শুরু হয়। এছাড়াও এদিন থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি হওয়ায় গত কিছুদিন ধরে অস্বস্তিকর গরম থেকে স্বস্তি মিলেছে নগরবাসীর। একই সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও কিছুটা বৃষ্টি বেড়েছে। ফলে সেসব স্থানে কমেছে তাপপ্রবাহ। এ পরিস্থিতি আরো কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও হতে পারে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া পরবর্তী ৩ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, এই সময়ের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে পটুয়াখালীতে ৮১ মিলিমিটার। পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তুত রয়েছে। এর একটি বাড়তি অংশ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র রয়েছে মাঝারি ধরনের সক্রিয়।