সিলেটে বাংলাদেশ জাসদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) ৫২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে স্থানীয় একটি হোটেলে জাসদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়।

সভার শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই ছাত্রগণঅভ্যুত্থানে শহীদ, জাসদের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে আজ পর্যন্ত দলের শহীদ ও প্রয়াত নেতা-কর্মীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এতে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ জাসদ স্থায়ী কমিটির সদস্য ডাকসুর সাবেক জিএস ডা. মুশতাক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৌলভীবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম শামীম, সিলেট মহানগর বাংলাদেশ জাসদ সহ সভাপতি ফেরদৌস আরাবী, জেলা সহ সভাপতি লাল মোহন দেব, জেলা সাধারণ সম্পাদক এড. সয়ফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক নাজাত কবির, সিপিবি সিলেট জেলা শাখার সভাপতি ফরহাদ হোসেন, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ সম্পাদক সিরাজ আহমেদ, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ডা. হারাধন দাস, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সমন্বয়ক সঞ্জয় দাস, সিলেট জেলা বাংলাদেশ জাসদ যুগ্ম সম্পাদক তাজউদ্দিন, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক জোট সিলেট জেলা সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ জ্যোতি দাস। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিলেট জেলা বাংলাদেশ জাসদ প্রচার সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।

বাংলাদেশ জাসদ স্থায়ী কমিটির সদস্য ডাকসুর সাবেক জিএস ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘শুধু ক্ষমতার হাত বদল নয়, স্বাধীন দেশের উপযোগী রাষ্ট্রকাঠামো ও বৈষম্যহীন সমাজ-অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার বজ্রকঠিন অঙ্গিকার নিয়ে ১৯৭২ সালের ৩১ অক্টোবর জাসদের জন্ম হয়, যা আজ বাংলাদেশ জাসদ নামে পথ চলা অব্যাহত রেখেছে। জন্মের পর থেকেই ক্ষমতাসীন দলগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের দলকে নিরন্তর সংগ্রাম পরিচালনা করতে হয়েছে গণতন্ত্র, সমতা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘জুলাইয়ের রক্তস্নাত ছাত্র গণঅভ্যুত্থান এদেশে বৈষম্যহীন সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠার রাজনীতিকে আবার এগিয়ে নেবার সুযোগ এনে দিয়েছে। কিন্তু ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে অংশীদার কোনো কোনো শক্তির মাঠ দখল করার ও শক্তি দেখাবার অবিবেচনাপ্রসূত কর্মকান্ডের কারণে পরিস্থিতি মাঝে মাঝে অস্বস্তিকর হয়ে উঠছে। যার যার রাজনৈতিক আদর্শ প্রচার করা দোষের কিছু নয়, কিন্তু গণতান্ত্রিক আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নিজের আদর্শ ও রাজনীতি গায়ের জোরে অন্যদের ওপর চাপিয়ে দেবার প্রবণতা গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক। এ ধরণের আত্মঘাতী প্রবণতা পরিহার না করলে সংগ্রামকালীন ঐক্য বিনষ্ট হবে ও ভিন্ন নামে ফ্যাসিবাদের বিপদ সৃষ্টি হবে। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদকে বিদায়ের পর নুতন নামে নুতন কোন ফ্যাসিবাদকে এদেশের জনগণ মেনে নেবে না।’

সভাপতির বক্তব্যে এড. জাকির আহমেদ বলেন, ‘এদেশ সকল নাগরিকের। দেশের সম্প্রীতি নষ্ট করার যে কোন ষড়যন্ত্র দেশবাসী রুখে দাঁড়াবে। তার জন্য আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে সকল গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল রাজনৈতিক সামাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।’