সিলেটে বৃষ্টিপাত কিছুটা কম হওয়ায় নদ-নদীর পানি এখনো অনেকটা অপরিবর্তিত অবস্থায় রয়েছে। সুরমা-কুশিয়ারাসহ জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কয়েকটি পয়েন্টে কিছুটা কমলেও বেশিরভাগ পয়েন্টে অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে জেলার প্রধান দুই নদী সুরমা-কুশিয়ারার পানি এখনো বিপৎসীমার উপরে রয়েছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮১ সেন্টিমিটার, সিলেট পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অন্যদিকে, কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৪২ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৯৯, শেওলা পয়েন্টে ৪৩ সেন্টিমিটার এবং শেরপুরে ১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে, সারি, সারিগোয়াইন ও লোভা নদীর পনি কিছুটা কমেছে।
বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসনের বন্যা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, তৃতীয় দফায় জেলার সবকটি উপজেলা বন্যা আক্রান্ত হয়েছে। জেলার ৯১টি ইউনিয়নের ১ হাজার ১৬০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৩৭৮ জন মানুষ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় সিলেটের সবকটি উপজেলা আক্রান্ত হয়েছে। বৃষ্টিপাত ও ঢলে সুরমা-কুশিয়ারাসহ সিলেটের বিভিন্ন নদ-নদীর পাঁচটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে ৬৪৬ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এরমধ্যে ১৯৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৮হাজার ৩৫১জন মানুষ। তবে বন্যায় এ পর্যন্ত সিলেটে কোথাও প্রানহানীর তথ্য পায়নি জেলা প্রশাসন।
এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় অধিদপ্তরের সিলেট কার্যালয় থেকে প্রেরিত ২৪ ঘন্টার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি সহ এলাকার বেশিরভাগ জায়গায় মাঝারি ভারী থেকে খুব ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানান, সিলেটে বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৭ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ২৪ ঘন্টার পূর্বাভাসে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।’