সিলেটে চলতি মাসে হয়ে গেছে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা। এতে বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গৃহহীন হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে হাহাকার করছেন তারা। যদিও সরকারি, বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি উদ্যোগে চলছে খাদ্য সহায়তাসহ অন্যান্য ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম।
জানা গেছে, রোববার (২৬ জুন) পর্যন্ত ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত সিলেটে ২২ হাজার ৪৫০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে এসব ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরে ফেরার অপেক্ষায় আছেন অসংখ্য মানুষ।
সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার আংশিক এবং ১৩টি উপজেলা ও ৫টি পৌরসভা মিলিয়ে ৯৯টি ইউনিয়নের মানুষ বন্যায় প্লাবিত হয়েছেন। বন্যায় ৪ লক্ষ ১৬ হাজার ৮১৯টি পরিবারের ২১ লক্ষ ৮৭ হাজার ২৩২ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
পাশাপাশি এবারের বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। তাদের তথ্য মতে, বন্যায় মোট ২৮ হাজার ৯৪৫ হেক্টর জমির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান জানিয়েছেন, সকল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শিগগির বন্যার্তদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২১ জুন) সিলেট জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সার্কিট হাউজে বন্যাকবলিত মানুষদের পুনর্বাসনের বিষয়ে সিলেটের স্থানীয় প্রশাসন ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, বন্যা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। বন্যা মোকাবেলার সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সহায়তা পৌঁছে দেয়া হবে।