সিলেটে বজ্রপাতে মাদরাসা শিক্ষক ও প্রবাসীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে সিলেটের কানাইঘাটের একজন, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের একজন ও হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার একজন। সোমবার (৬ মে) সকালেই পৃথক ঘটনায় তাঁদের প্রাণহানি ঘটেছে।
জানা গেছে, সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ৩নং দীঘিরপার পূর্ব ইউনিয়নে মাঠে গরু চরাতে গিয়ে মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার দর্পনগর পশ্চিম করচটি গ্রামের রফিকুল হকের পুত্র। মাহতাব উদ্দিন ওমান প্রবাসী ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মাহতাব উদ্দিন সুরমা নদী তীরবর্তী মাঠে গরু চরাতে যান। এসময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৩নং দীঘিরপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী।
অন্যদিকে, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে সমুজ মিয়া (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের ছনোয়ার মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে প্রবল ঝড়ো হাওয়া ও কালবৈশাখীর সময় পার্শ্ববর্তী ছড়ায় মাছ ধরতে যান। এসময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। সমুজ মিয়া সদ্য বিবাহিত। তাঁর অকাল মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।
এ বিষয়ে পতনঊষার ইউপি চেয়ারম্যান অলি আহমদ খাঁন জানান, কালবৈশাখীর সময় মাছ ধরতে গেলে সমুজ মিয়া বজ্রপাতে প্রাণ হারান। তাঁর অকাল মৃত্যুতে পরিবারকে সহযোগীতার জন্য উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতা চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া হবিগঞ্জের বাহুবলে সোমবার সকালে বজ্রপাতে দানিছ মিয়া (৫৫) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত দানিছ মিয়া সাতপাড়িয়া গ্রামের রহিম উল্লাহর ছেলে। তিনি উপজেলার চলিতাতলা মাদরাসার শিক্ষক।
জানা যায়, হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সাতপাড়িয়া গ্রামে বাড়ির পাশের জমি থেকে গরু আনতে যান। এসময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাহুবল থানার (ওসি) মোঃ মশিউর রহমান জানান, সোমবার (৬ মে) সকালে এ ঘটনা ঘটে। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।