আ ফ ম কামাল হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদের নামে বিএনপি ও ছাত্রদলের ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের’ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং ভাংচুরকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার রাতে এতে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে দলটি জানায়, সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভা উপলক্ষে সজ্জিত রিকাবিবাজারস্থ কবি নজরুল অডিটোরিয়ামের সম্মুখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের ছবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরন ভাঙচুর করেছে বিএনপি ও ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা।
গত ৬ নভেম্বর মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরে রাতের আঁধারে বিএনপি ও ছাত্রদল সন্ত্রাসীরা এই ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালায়। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সাধারণ মানুষের তাৎক্ষণিক প্রতিরোধের মুখে ভাংচুরকারী বিএনপি ও ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। তারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভাকে ভন্ডুল করার জন্য এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়। নিজেদের দলের আভ্যন্তরীণ কোন্দল ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের কারণে মারা যায় আ.ফ.ম. কামাল। কিন্তু তারা দলীয় আভ্যন্তরীণ কোন্দল ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বকে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে পরিণত করার পায়তারা করছে। এটাই বিএনপির চরিত্র। তারা নিজেদের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপাতে সবসময়ই সিদ্ধহস্ত। কিন্তু জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই তা হতে দেবে না।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘটনার পরপরই সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তাঁরা বিএনপি সন্ত্রাসীদের এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তাঁরা মিডিয়ার সম্মুখে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের আবেগের জায়গা। বিএনপি সন্ত্রাসীরা আমাদের সেই আবেগের জায়গায় আঘাত করেছে যা কোনোভাবেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মেনে নিতে পারে না। শান্তি ও সম্প্রীতির সিলেট নগরীকে অশান্ত করার জন্য বিএনপির সন্ত্রাসীরা পায়তারা করছে। এই সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত দুষ্কৃতকারীদের সিলেটের মাটিতে স্থান হতে পারে না। নেতৃবৃন্দ বিএনপির সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।
পাশাপাশি বিএনপির নেতৃবৃন্দকেও উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনারা সিলেটের রাজনৈতিক সম্প্রীতি নষ্ট করবেন না। নিজেদের দলকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন তা না হলে আগামী ১৯ নভেম্বর আপনাদের গণসমাবেশসহ সকল কর্মসূচি আমাদের নেতা-কর্মীরা প্রতিহত করতে বাধ্য হবে।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. নাসির উদ্দীন খান এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন বিএনপির এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং দ্রুত ভাংচুরের ঘটনায় সম্পৃক্ত বিএনপির সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। অন্যথায় সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ যৌথভাবে বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকান্ড প্রতিহত করার জন্য কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হত্যা, খুন ও সন্ত্রাসের রাজনীতি বিশ্বাস করে না। নেতৃবৃন্দ মরহুম আ.ফ.ম কামালের প্রকৃত হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান।