সিলেটে নিরাপত্তা জোরদার, পুলিশের ১০ টিম মাঠে

ঢাকার নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ও গ্রেপ্তারের ঘটনার পর সিলেট নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সহিংসতার আশঙ্কায় সতর্কাবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সহিংসতার আশঙ্কায় সতর্কাবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নজরদারিতে রাখা হয়েছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বেশ কিছু নেতাকে।

এছাড়া জিন্দাবাজার, আম্বরখানা, বন্দরবাজার, মেন্দিবাগ, সুবহানীঘাট, জিতু মিয়ার পয়েন্টি, রিকাবিবাজার, দক্ষিণ সুরমার হুমায়ন রশিদ চত্বরসহ নগরের প্রবেশদ্বারগুলোতে কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটে মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।

আজবাহার আলী শেখ বলেন, সিলেট নগরীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০টি টিম সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বিক্ষোভ-সভার নামে কোথাও কোনো ধরণের অরাজকতার চেষ্টা চালানো হলে প্রতিহিত করবে পুলিশ।এখন পর্যন্ত সিলেট নগরী শান্ত রয়েছে।

পুলিশ সূত্র গেছে, ঢাকায় সংঘর্ষের ঘটনার পর বুধবার (০৭ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবক’টি ইউনিটকে সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। রাতেও পুলিশের টহল জোরদার করা হয়। পাশাপাশি বিএনপির অপতৎপরতা রুখতে গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। কোথাও বিক্ষোভ সমাবেশের নামে অরাজকতার চেষ্টা চালানো হলে তাৎক্ষণিক অ্যাকশনে যেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া আছে।

তাছাড়া যাদের ইশারায় নগরজুড়ে অরাজকতা সৃষ্টি হতে পারে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সেসব নেতার গতিবিধির ওপর নজরদারি চলছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত ও বিভিন্ন নাশকতার মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা।