জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, পতিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার তাদের গদি রক্ষায় চরম নিষ্ঠুর আচরণ করেছে। হাজার হাজার ছাত্রজনতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। অনেকে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালের বেডে ব্যাথায় কাতরাচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের দিন বিজয় মিছিলে শামিল হন সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. শাহজাহান আহমদ। সেদিন বিকেলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শাহজাহানসহ ৪ জনের মরদেহ পুলিশ দক্ষিণ সুরমা থানার ভেতরে নিয়ে যেতে দেখেছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন ভিডিওতে লাশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ২টি মাসুম বাচ্চার পিতা শাহজাহানের মরদেহ গুমের ঘটনা খুবই বেদনাদায়ক। অবিলম্বে নিহত শাহজাহানের খুনী ও লাশ গুমকারীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে। জামায়াত ছাত্রজনতার আন্দোলনে নিহত, আহত ও নিখোঁজ পরিবারের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে।’
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় বিগত ছাত্র আন্দোলনে নিখোঁজ সিএনজি চালক শাহজাহানের পরিবারের সাথে সাক্ষাতকালে উপরোক্ত কথা বলেন। এসময় তিনি শাহজাহানের পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দেন, সহমর্মিতা প্রদান করেন ও নগদ ২ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান দেন। এছাড়া জামায়াতের পক্ষ থেকে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। এসময় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী চিকিৎসক ডা. শামছুন্নুর নুর জুয়েল প্রতিমাসে নিখোঁজ সিএনজি চালক শাহজাহানের পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদানের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দক্ষিণ সুরমা থানা জামায়াতের আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারী মাওলানা ফয়জুল ইসলাম জায়গীরদার, জামায়াত নেতা মঞ্জুর রহমান, শ্রমিক নেতা শামসুল ইসলাম, বদরুল ইসলাম, শাহ আবুল কালাম, আজিজুল আম্বিয়া তারেক, আলী হোসেন, চন্ডিপুল শাখা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা জাবেদ আহমদ, আব্দুর রক মঞ্জুর, তারেক আহমদ, খায়ের আহমদ, পারভেজ আহমদ, মিছবা উদ্দিন প্রমূখ।
নিখোঁজ সিএনজি চালক শাহজাহানের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে থেকে উপস্থিত ছিলেন পিতা মো. আরশ আলী, মা রাবিয়া বেগম, ভাই জসিম উদ্দিন, হৃদয় মিয়া, বোন রুকশানা, রাফসানা ও সম্মন্ধি তাজ উদ্দিন প্রমুখ।