সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকার বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পৃথক দুটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
রোববার (৬ নভেম্বর) রাতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন মৃত রিপন দাসের ভাই রূপণ দাস এবং মৃত শিপা তালুকদারের বড় ভাই নিবারণ তালুকদার।
মৃত রিপন দাস (৩০) সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাগ ইউনিয়নের রাজাবাজ গ্রামের সুভাষ দাসের ছেলে এবং শিপা তালুকদার (২১) সুনামগঞ্জ সদরের মনপুর ইউনিয়নের ফন্দিয়া গ্রামের নির্ণয় তালুকদারের মেয়ে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. খালেদ মামুন জানান, আজ সোমবার (৭ নভেম্বর) ওই দম্পতির মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে। পরে লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
রোববার পাঠানটুলার পল্লবী আবাসিক এলাকার বাসা থেকে ওই দম্পতির লাশ উদ্ধারের সময় তাদের দেড় বছরের ছেলে শিশু এবং একটি চিরকুট উদ্ধার করে পুলিশ। বর্তমানে শিশুটি তার দিদিমা (নানী) ও মামাদের কাছে রয়েছে।
প্রতিবেশী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রিপন একটি বিস্কুট প্রস্তুতকারক কোম্পানিতে চাকরি করতেন। প্রায় আড়াই-তিন বছর আগে এ দম্পতির বিয়ে হয়। তারা ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন।
শনিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। রোববার সকাল ৯টার দিকে ঘরের ভেতর থেকে শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। অনেক ডাকাডাকি করার পরও ভেতর থেকে কোনো সাড়া-শব্দ না পাওয়ায় প্রতিবেশীরা ঘরের টিন কেটে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। এ সময় দেড় বছরের শিশুটি তার মায়ের পা ধরে কান্না করছিল। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
জালালাবাদ থানার ওসি নাজমুল জানান, ওই বাসা থেকে উদ্ধার করা চিরকুটে- ‘আমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছি, তোমরা আমার সন্তানকে খেয়াল রেখো’ লেখা রয়েছে। তবে চিরকুটটি শিপা না কি রিপন লিখেছেন, তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।